ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্ত্রীকে মারধর করতেন পুতিন

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

স্ত্রীকে মারধর করতেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর স্ত্রীকে নিয়মিতভাবে প্রহার করতেন। পরে তিনি তাঁকে তালাক দেন। রুশ নেতার ওপর তৈরি একটি নতুন জার্মান প্রামাণ্যচিত্রে এই দাবি করা হয়েছে। খবর টেলিগ্রাফের। ‘পুটিন দ্য ম্যান’ নামে জেডডিএফ টেলিভিশনের তৈরি প্রামাণ্যচিত্রটি এ সপ্তাহে প্রথমবার দেখানো হয়। ছবিটির নির্মাতাদের দাবি তাদের একটি অজ্ঞাত পরিচয় পশ্চিমী গোয়েন্দা সংস্থার ইতোপূর্বে অদেখা ফাইল দেখার সুযোগ দেয়া হয়। ওইসব ফাইলে ’৮০-এর দশকে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির ড্রেসডেনে নিযুক্ত একজন তরুণ কেজিবি কর্মকর্তা হিসেবে পুতিনের দিনকাল থেকে শুরু করে পরবর্তীতে রাশিয়ায় তাঁর ক্ষমতায় আরোহণ বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে ড্রেসডেনের কেজিবির দফতর, যার সাঙ্কেতিক নাম ‘লেহনচেন’Ñ সেখানকার একজন সেক্রেটারির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, পুতিন স্ত্রী লুদমিলাকে নিয়মিত মারধর করতেন। ওই সেক্রেটারি পুতিনের সাবেক স্ত্রীর বান্ধবী হয়ে উঠেছিলেন। ছবিটিতে দেখানো হয়েছে, পুতিন এখন সযতেœ তাঁর শারীরিক ফিটনেস প্রদর্শনের আপ্রাণ চেষ্টা করেনÑ জার্মানির দিনগুলোতে কিন্তু তিনি মেদবহুল ও অতিরিক্ত মদ্যপায়ী ছিলেন। লেখক মাহসা গেসেন ডকুমেন্টারিটিতে বলেন, তিনি মানসিক অবসাদগ্রস্ত, মোটাসোটা, অলস ও বিভ্রান্ত প্রকৃতির ছিলেন। ১৯৮৯ তে পূর্ব জার্মানিতে ব্যাপক কম্যুনিস্টবিরোধী বিক্ষোভের পর বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা হয়। সিগফ্রিড দানাথ নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, বিক্ষোভের সময় পুতিন পুরোদস্তুর ইউনিফর্ম পরিহিত হয়ে দরজার কাছে এসে জনতাকে বলেন, তার লোকদের গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুতিনের সাবেক কেজিবি সহকর্মী সের্গেই বেজরুকভও এ কথা সমর্থন করেন। ডকুমেন্টারি নির্মাতারা গোয়েন্দা ফাইল দেখে বলেছেন, পাঁচবার পুতিনের প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়। একবার লন্ডনের একটি বিমানবন্দরে কেজিবির সাবেক এক মেজর তাঁকে হত্যার মিশন বাস্তবায়নের আগেই ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিরস্ত্র করতে সক্ষম হয়। ২০০৩-এ লন্ডনে এ ব্যাপারে দুইজন গ্রেফতার হয়। এছাড়া মস্কো, সেন্ট পিটার্সবুর্গ, তেহরান ও আজারবাইজানি রাজধানী বাকুতে তাঁর প্রাণনাশের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। পুতিন গোপনে তাঁর মুখম-লে কসমেটিক সার্জারি করেন বলেও দাবি করা হয়। সেখানে আরও দেখানো হয়; তিনি নিজেও সব সময় দেরি করেন এবং অন্যদের অপেক্ষারত রাখেন। তিনি একবার ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রিটেনের রাণীকে আধ ঘণ্টা প্রতীক্ষারত রাখেন। নিজের মন্ত্রীদেরও তিনি দুই থেকে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একবার এ্যাঞ্জেলা মেরকেলকে তাঁর সঙ্গে বৈঠকের জন্য কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। পুতিনের জীবনীকার বেন জুদাহ ডকুমেন্টারিতে বলেন, ‘এটা তাঁর ক্ষমতার আভাস দেয়।’ তার (পুতিন) কথা হলো ‘আমাকে তোমার প্রয়োজন- কিন্তু তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই। তাই তোমাকে অপেক্ষা করতে হবে।’ প্রামাণ্য চিত্রটিতে দাবি করা হয়, পুতিন ঘুম থেকে দেরি করে উঠেন এবং বিকেল বেলা তার বেশিরভাগ কাজ সারেন।
×