ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেসি-নেইমার স্পর্শে ধন্য সুয়ারেজ!

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মেসি-নেইমার স্পর্শে ধন্য সুয়ারেজ!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ছেলেবেলায় স্বপ্নে দেখতেন বার্সিলোনার হয়ে খেলছেন। কিন্তু সেই ক্লাবের হয়েই যে একদিন খেলতে পারবেন এমন কখনও ভাবেননি লুইস সুয়ারেজ। ২০১৪ সালের আগস্টে বার্সিলোনায় নাম লেখান উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু আলোচিত-সমালোচিত এই তারকা এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না তিনি বার্সার একজন খেলোয়াড়। এই ক্লাবের হয়ে খেলাটা তার ক্যারিয়ারের সেরা প্রাপ্তি হিসেবে অভিহিত করেন ২৮ বছর বয়সী সুয়ারেজ। পাশাপাশি দুই মহাতারকা লিওনেল মেসি ও নেইমারের পাশে খেলতে পেরেও তিনি ধন্য বলে মনে করেন। বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাতকারে এমন মন্তব্য করেন কামড় কা-ে সমালোচিত এই ফুটবলার। সাক্ষাতকারে সুয়ারেজ জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে বার্সিলোনায় তার জড়তা কেটে উঠছে। আর নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন দলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে। ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল ছেড়ে বার্সায় নাম লেখানো এ ফুটবলার বিশ্বকাপে কামড় কা-ে সমালোচিত হন। এরপর থেকে তিনি ফুটবলের মাঠেও নিষিদ্ধ ছিলেন। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে কাতালানদের হয়ে ফেরা সুয়ারেজ দীর্ঘদিন ফুটবলের বাইরে থাকায় নিজের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। বার্সায় যোগ দেয়ার পর থেকেই তিনি পাদপ্রদীপের বাইরে ছিলেন। বিশেষ করে মেসি ও নেইমারের সঙ্গে কিছুতেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। অবশেষে সব জড়তা কাটিয়ে দুই সেরা তারকার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। এখন গোলও পাচ্ছেন নিয়মিত। গোলে সহযোগিতাও করছেন। তিনি বলছেন, সব জড়তা কেটে গেছে এখন সেরাটা দিয়ার পালা। সুয়ারেজ বলেন, মেসি ও নেইমারের পাশে খেলতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। তাদের পাশে খেলতে পারাটা আসলেই দারুণ বিষয়। আর অল্প সময়ের মধ্যেই আমি আমার বার্সা সতীর্থদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারছি। আশা করছি এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারব। দলের সাফল্যের জন্য নিজের সেরাটা দিতে আমি বদ্ধপরিকর। এর আগে আরেক সাক্ষাতকারে উরুগুইয়ান তারকা বলেছিলেন, আমার সর্বোচ্চ লক্ষ্য ছিল বার্সিলোনায় হয়ে খেলা। ছোটবেলায় আমি যখন বার্সিলোনা সফরে এসেছিলাম তখন লুকিয়ে ক্লাবের অনুশীলন দেখেছিলাম। আর এখন সেই ক্লাবের হয়ে আমি খেলছি। এটা সত্যিই স্বপ্নের মতো। আমার মাঝে মধ্যে বিশ্বাসই হয় না যে আমি বার্সার খেলোয়াড়। ব্রাজিল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উরুগুয়ের হয়ে পারফর্মেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমি যে দুটি গোল করেছিলাম সেই গোলদুটি আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে উপভোগ্য গোল ছিল। বিশ্বকাপের আগে আমার হাঁটুতে যখন অস্ত্রোপচার হয় তখন প্রিমিয়ার লীগের অনেকেই আমাকে নিয়ে উপহাস করেছিল। তারা ভাবতেও পারেনি এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমি ফিরে আসব। আমার পরিবার এ বিষয়ে আমাকে দারুণ সহযোগিতা করেছে। ব্রাজিল বিশ্বকাপে কামড় কা-ের কারণে যে কোন ধরনের ফুটবলে চার মাস ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ৯ ম্যাচ নিষিদ্ধ হন সুয়ারেজ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপীলের পর ক্লাবের হয়ে ‘অনানুষ্ঠানিক’ ম্যাচ খেলার অনুমতি পান উরুগুইয়ান সুপারস্টার। এই সুযোগে নতুন ক্লাব বার্সিলোনার হয়ে অভিষেকও হয় আলোচিত-সমালোচিত তারকার।
×