ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চারণকবি বিজয় সরকারের ১১৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চারণকবি বিজয় সরকারের ১১৩তম জন্মজয়ন্তী আজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল ॥ ‘এই পৃথিবী যেমন আছে, তেমনিই ঠিক রবে, সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে’। এমন সব অসাধারণ ভাবতত্ব গানের রচয়িতা, একুশে পদক প্রাপ্ত, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সুরস্রষ্টা চারণকবি বিজয় সরকারের ১১৩তম জন্মজয়ন্তী আজ বৃহস্পতিবার। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। চারণকবি বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম আকরাম শহীদ চুন্নু বলেন, বিজয় সরকার ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন এবং সুর করেছেন। সংরক্ষণের অভাবে গানগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। যথাযথ সংরক্ষণ ও গানের পা-ুলিপির অভাবে বিজয় সরকারের গান যে যার মতো করে গাইছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কবির জন্মস্থান নড়াইলের ডুমদি গ্রামের রাস্তাটি আজও পাকা হয়নি। গ্রাম্য মেঠো পথের মতই রয়ে গেছে। কবির বাড়ি ডুমদিতে একটি বিজয় মঞ্চ নির্মাণ করা হলেও সেখানে কবির ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও কবিকণ্ঠের গান সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। সংগ্রহশালা নির্মাণের দাবিও রয়ে গেছে উপেক্ষিত। দেশের প্রতিথযশা এই চারণ কবির জন্মদিনে আমাদের দাবি নাড়াইলের ডুমদিতে বিজয় সরকারের নামে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হউক। চারণ কবি বিজয় সরকারের প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী। কালজয়ী সব গানের রচনা ও সুর সংযোজনের কারণে লাভ করেন ‘সরকার’ উপাধি। একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক বিজয় সরকার। বিজয় সরকারের বাবার নাম নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। বিজয় সরকারের দুই স্ত্রী-বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারীর কেউই বেঁচে নেই। সন্তানদের মধ্যে কাজল অধিকারী ও বাদল অধিকারী এবং মেয়ে বুলবুলি অধিকারী ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন। বিজয় সরকার তার ভক্ত ও স্থানীয়দের কাছে ‘পাগল বিজয়’ হিসেবেই সমধিক পরিচিত। তিনি নবমশ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন, মতান্তরে ম্যাট্রিক পর্যন্ত। এই গুণী শিল্পী ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। বার্ধক্যজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতে পরলোকগমন করেন কবিয়াল বিজয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গের কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়।
×