ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৭:০৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কম কমলেও মূলত ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে সূচক কিছুটা বেড়েছে। তবে দিনটিতে আগে গত কয়েকদিন ধরে দর বাড়তে থাকা কোম্পানিগুলোর মূল্য সংশোধন ঘটেছে। এর বাইরে আগামীতে লভ্যাংশ ঘোষণা করে যাওয়া কোম্পানিগুলোর প্রতি আগ্রহ দেখা গেছে। ঢাকার মতো দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে সূচকের মিশ্রাবস্থা দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সারাদিন সূচকের ওঠানামা শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮০২ পয়েন্টে। মূল সূচক বাড়লেও বাছাই ও শরিয়াহ তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর হারানোয় সংশ্লিষ্ট সূচকগুলো সামান্য কমেছে। বুধবারে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১৪৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৫৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে খাতটির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ১৯ ভাগ। দীর্ঘদিন পরে ব্যাংকের প্রতিও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেছে। লভ্যাংশ ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসার কারণেই খাতটির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। দিনটিতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৭১ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১১ ভাগ। বুধবার ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার। দিনভর এ কোম্পানির ৯ লাখ ৫৬ হাজার ২৬টি শেয়ার ১৪ কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের ১২ কোটি ৬৯ লাখ, ইফাদ অটোসের ৮ কোটি ৩৪ লাখ, লাফার্জ সুরমার ৭ কোটি ১৯ লাখ, এমজেএলবিডির ৭ কোটি ৯ লাখ, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৬ কোটি ৪২ লাখ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারির ৬ কোটি ১০ লাখ, অগ্নি সিস্টেমের ৫ কোটি ৭৮ লাখ, বেক্সিমকোর ৫ কোটি ৪৮ লাখ ও আমরা টেকনোলজিসের ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আইসিবিএএমসিএল ২য় মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক, এআইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল টি, সিটি ব্যাংক, রেকিট বেনকিজার, ইউসিবিএল ও বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ফ্যামিলি টেক্স, বিডি অটোকারস, দুলা মিয়া কটন, ঝিল বাংলা, আরকে সিরামিক, নদার্ন জুটস, মেঘনা পেট ও মাইডাস ফাইন্যান্স। ঢাকার মতো দেশের অপর পুঁজিবাজারেও সূচকের মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। সকালে উর্র্ধগতি দিয়ে শুরুর পরে দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৯৩০.৫৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১০৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, ইফাদ অটোস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, আমরা টেক, এবি ব্যাংক ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট।
×