ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চার হাজারি ক্লাবে প্রথম বাংলাদেশী সাকিব

প্রকাশিত: ০৬:০০, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

চার হাজারি ক্লাবে প্রথম বাংলাদেশী সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজারি ক্লাবে নাম লেখাতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের প্রয়োজন ছিল ২৩ রান। ৩৯৭৭ রান আগেই ছিল। বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সেই কাক্সিক্ষত অর্জনটি নিজের করে ফেলেছেন সাকিব। বিশ্বকাপের মতো ক্রিকেট মহাযজ্ঞেই নিজের পাশে এ রেকর্ডটি যুক্ত করে নিয়েছেন। চার হাজারি ক্লাবে এখন প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটারটির নাম সাকিব আল হাসান। শুধু ২৩ রানই নয়, সাকিব এদিন করেছেন ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলের হালও ধরেছেন সাকিব। দলকে বড় স্কোরের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। চার হাজার ক্লাবে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সাকিব আরেকটি রেকর্ডও গড়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে এখন সাকিবেরই সবচেয়ে বেশি ২৮ অর্ধশতক রয়েছে। তামিম আছেন (২৭ ওয়ানডে অর্ধশতক) সাকিবের নিচে। সাকিবের এখন ১৪২ ওয়ানডেতে ৩৪.৮২ গড়ে রান ৪০৪০। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে চার হাজারি ক্লাবের নতুন সদস্য হয়েছেন সাকিব। অনবদ্য ব্যাটিং করে বাংলাদেশের হয়ে সবার আগে নতুন এই মাইলফলকে পৌঁছান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। আফগানিস্তানের বোলার আফতাবকে চার মেরে এই মাইলফলকে পৌঁছান সাকিব। এর আগে তামিমের সামনে সুযোগ ছিল এই মাইলফলক স্পর্শ করার। মাঠে নামার আগে তার প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। কিন্তু ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরায় ১০ রান পেছনে রয়েছেন তামিম। তামিমের অপেক্ষা থাকলেও সাকিবের আর চার হাজারি ক্লাবে যুক্ত হওয়ার অপেক্ষা নেই। তা করে ফেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এখন সাকিব। ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়কও। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বুধবারই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছেন। তার দিকেই সবার দৃষ্টি ছিল। সাকিবও সবার মনের মতো খেলাই উপহার দিয়েছেন। ১৪১ ওয়ানডে খেলে ৩,৯৭৭ রান নিয়ে বুধবার মাঠে নেমেছিলেন এই অলরাউন্ডার। বল হাতে আরও বিধ্বংসী সাকিব। সমানসংখ্যক ম্যাচে বল করে উইকেট নিয়েছেন ১৮২টি। গত বছর একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৪ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও আছে সাকিবের। ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে সাকিবের। প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ৩০ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ভাগ্যবান সাকিব, তার ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পান। ক্যারিয়ারে ৬ সেঞ্চুরির পাশাপাশি সাকিবের রয়েছে ২৮ হাফসেঞ্চুরি। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। বল হাতে সর্বোচ্চ সাফল্য ১৬ রানে ৪ উইকেট।
×