ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সতর্ক থাকার আহ্বান

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ তাঁর দফতরের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষামন্ত্রীর পিএস পরিচয়ে একটি চক্র প্রতারণার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশের পর মন্ত্রণালয় বুধবার এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ে পক্ষ থেকে এই সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রীর একান্ত সচিব, সহকারী একান্ত সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারকচক্র দেশব্যাপী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে নানা অজুহাতে অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারমূর্তি ক্ষুণœ হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে কেউ কোন ফোন কল পেলে, তা নিশ্চিত হয়ে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুরোধ করা হয়েছে, ওই চক্রের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে। জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব (পিএস) পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে মঙ্গলবার টাকা নেয়ার চেষ্টা করা হয়। ইউএনও সরাসরি মন্ত্রীর সরকারী নম্বরে ফোন দেয়ার পর প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। নাজমুল আলম নামে একজন নিজেকে শিক্ষামন্ত্রীর পিএস পরিচয়ে ডিসি ও ইউএনওকে ফোন করে জানায় যে, মন্ত্রীর বাড়ির গৃহকর্মী মারা গেছে। সে চাষাঢ়ায় বসবাস করত। মন্ত্রী এক লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন। আপাতত ২৪ হাজার টাকা পাঠাতে হবে। মন্ত্রী টাকা দিলে এ টাকা কেটে নিলে হবে। ইউএনও গাউছুল বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ফোন করে পিএস নাজমুল আলমের সঙ্গে কথা বলেন। নাজমুল জানান, তিনি এমন কোন ফোন করেননি। বিষয়টি একটি চক্রের প্রতারণার চেষ্টা। এই চক্র চাঁদপুরের হাইমচরের উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর পিএস পরিচয়ে প্রতারণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজ জোরদারের তাগিদ ॥ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা কর্মকা- পরিচালনার ওপর আরও জোর দিতে হবে। ইউজিসি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ড্রাফট কোয়ালিটি এসিউরেন্স এ্যান্ড এক্রিডিটেশন কাউন্সিল অব বাংলাদেশ (কিউএএসিবি) এ্যাক্ট’ শীর্ষক এক পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
×