ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গান কবিতা ও প্রকাশনায় অমর একুশের শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গান কবিতা ও প্রকাশনায় অমর একুশের শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পূর্বিতা সাংস্কৃতিক মঞ্চের শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কী ভুলিতে পারি’, ‘মোদের গর্ব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা’ এবং ‘ও আমার প্রাণের ভাষা’ গানগুলোর সঙ্গে সুর মেলাচ্ছেন উপস্থিত দর্শক। এমনই এক প্রাণোচ্ছ্বল পরিবেশ ছিল জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায়। অমর একুশের গান, কবিতা পাঠ ও প্রকাশনানুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে অমর একুশের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে রাইটার্স ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠান সহায়তায় ছিল মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি, সাউথ এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউট ও ইতিহাস একাডেমি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর কে এম মোহসিন, জাতীয় জাদুঘরের চেয়ারম্যান কবি আজিজুর রহমান আজিজ, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা ও প্রফেসর শরীফ উদ্দিন আহমেদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ড. আনু মাহমুদ ও সেগুফতা নেসার। রাইটার্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. এম নূরুল ইমলাম ও প্রফেসর ড. নিয়াজ খান। শুরুতেই ছিল পূর্বিতা সাংস্কৃতিক মঞ্চের শিল্পীদের সমবেত সঙ্গীত। শিল্পীরা পরপর তিনটি সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনের পর মঞ্চে একক গান নিয়ে আসেন শিল্পী প্রিয়াংকা চৌধুরী। তার পরিবেশনায় ছিল রাহাত খানের লেখা ও সুখেন্দু চক্রবর্তীর সুরে একক গান ‘মাগো তোমার সোনার মানিক ছুটি হলেও ফিরবে না’। পরে ছন্দা চক্রবর্তী পরিবেশন করেন ‘ও আমারই বাংলা ভাষা’ ও ‘যদি মরণের পরে কেউ প্রশ্ন করে’ শিরোনামের দুটি গান। শিল্পী মনজু সাহা পরিবেশন করেন ‘মোরা মাতৃভাষায় কথা বলি’ ও ‘আমি বাংলায় গান গাই’। শিল্পী পরি রহমানের পরিবেশনায় ছিল ‘মাগো আর তোমাকে ঘুমপড়ানী মাসি হতে দেবো না’। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের শেষশিল্পী ছিলেন ইয়াসমিন মুশতারী। তিনি পরপর দুটি গান পরিবেশন করেন। গানের শিরোনাম ছিল যথাক্রমে ‘বাহান্নতে তৈরি মায়ের নকশীকাঁথা দিয়ে’ ও ‘দেশ নয় শুধু দেশের আকাশ’। গানের পর্ব সঞ্চালনা করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ। এরপর শুরু হয় প্রকাশনা উৎসব ও কবিতা পাঠের আসর। এ পর্বের শুরুতে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন রাইটার্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবুল আজাদ। পরে ড. শরীফ আশরাফউজ্জামানের ‘বাংলাদেশে জ্বালানি তেল বিপণনের এক শতাব্দী’ শীর্ষক গবেষণাধর্মী গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন হয়। আলোচনানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাঙালীর ভাষা সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার প্রাণের স্ফুরণ ঘটেছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সেই একুশে আজ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হচ্ছে। এ ঐতিহ্যময় গৌরব অর্জনের জন্য সেদিন যারা আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে আমাদের পথ নির্দেশ করে গেছেন সেই সব জাতীয় বীরÑ রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা জানাই। একুশের এমনই এক আয়োজনের মধ্যে ড. শরীফ আশরাফউজ্জামানের পি-এইচ ডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ ‘বাংলাদেশে জ্বালানি তেল বিপণনের এক শতাব্দী’ গ্রন্থ প্রকাশকেও অভিনন্দন জানাই। সবশেষে কবিতা পাঠের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। কবিতা পাঠ করেন, কবি আনিস মুহম্মদ, কবি গিয়াস উদ্দিন ও কবি মোহিনী ইসলাম প্রমুখ। শিল্পকলায় ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ মূকাভিনয় প্রদর্শনী ॥ বস্তুবাদের ভয়াল থাবায় সভ্যতা আজ ক্ষতবিক্ষত। মানুষের মাঝে ক্রমশ লোপ পাচ্ছে মানবীয় গুণাবলি। মানুষের নিরাপত্তার অভাব দেখা দিয়েছে প্রতি মুহূর্তে। সমাজের পরতে পরতে আজ তাই নানা অসঙ্গতি বিরাজ করছে। মাইম আর্টের কমেডি মূকাভিনয় প্রযোজনা ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ মূলত কমেডি হলেও হাস্যরসের মাধ্যমে এ প্রযোজনায় সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে আনা হয়েছে।
×