ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এক ব্যারিস্টার নেতার নেতৃত্বে জঙ্গীদের দিয়ে আইইডি আনা হয়েছে ভারত থেকে ॥ তৈরি হচ্ছে সুইসাইড স্কোয়াড

পেট্রোলবোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর নাশকতার চক্রান্ত হচ্ছে লন্ডনে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পেট্রোলবোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর নাশকতার চক্রান্ত হচ্ছে লন্ডনে

শংকর কুমার দে ॥ পেট্রোলবোমার চেয়েও বড় ধরনের ভয়ঙ্কর নাশকতার ছক কষা হচ্ছে লন্ডনে। এ ধরনের নাশকতার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে জঙ্গীগোষ্ঠী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনা হয়েছে নাশকতার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিধ্বংসী বোমা। প্রস্তুত করা হচ্ছে আত্মঘাতী (সুইসাইড স্কোয়াড) দলের সদস্য। এ ধরনের নাশকতা হতে পারে খুবই ব্যাপক প্রাণঘাতী, সম্পদহানিকর, ব্যাপক ও বিস্তৃত। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, চলমান অবরোধ-হরতালে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নৃশংস হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই আন্দোলনের ভয়ঙ্কর নতুন ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত জোট। বড় ধরনের শোডাউনের কথা মাথায় রেখেছে তারা। বিএনপি-জামায়াত জোটের এ চক্রান্তের আড়ালে সংগঠিত হচ্ছে জঙ্গীগাষ্ঠী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যে স্টাইলে খাগড়াগড়ের জঙ্গী সংগঠন জেএমবির সঙ্গে হিযবুত তাহরীর মিলিত হয়ে হামলার চক্রান্ত করেছিল, সেই একই স্টাইলে তাদের লক্ষ্যবস্তু হবে বড় মাপের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্থাপনা। এই ধরনের হামলা নৃশংসতার দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা বা আইএসের চেয়েও বিপজ্জনক হতে পারে। সূত্র জানায়, দেশের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনগুলোর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ অব্যাহত আছে। অবরোধ-হরতালের চলমান সহিংসতায় আরও ধ্বংসাত্মক কর্মকা- পরিচালনার জন্য এবার ইমপ্রোভাইস এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসও (আইইডি বোমা) আনা হচ্ছে। ভারতে তৈরি এসব আইইডি বোমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। এসব আইইডি বোমা এনেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ের ঘটনায় পলাতক জেএমবি জঙ্গীরা। তাদের দলে আছে আত্মঘাতী দলের সদস্যরাও। আত্মঘাতী দলে থাকছে মহিলা সদস্যও। এ ধরনের আইইডি বোমা ব্যবহারের ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ব্যাপক ও ভয়াবহ। আত্মঘাতী দলের মহিলা ও পুরুষ সদস্যদের সুযোগ বুঝে কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতা দিনে দিনে কমে আসতে শুরু করেছে। সহিংস সন্ত্রাস চালিয়েও আন্দোলনের ফসল ঘরে উঠছে না তাদের। বাধ্য হয়েই নাশকতার মাত্রা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছে বিদেশী প্রভাবশালী মহল ও সংস্থা। এ জন্য ভারতের জঙ্গীদের হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। দুই জঙ্গীগোষ্ঠী মিলে অবরোধ-হরতাল, সমাবেশের শোডাউন ইত্যাদির অন্তরালে নাশকতার কাজে মাঠে নেমে পড়ার নীলনক্সা তৈরি করেছে। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিট জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গী ক্যাডাররা এসব তথ্য জানায়। ভারত থেকে তাদের জঙ্গীগোষ্ঠীর সহযোগীরা দেশে প্রবেশ করেছে বলে তথ্য দিয়েছে। সূত্র মতে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালের পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার মধ্যে ঘি ঢেলে দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় ঘোষণা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে রায়ে ফাঁসির আদেশে তারা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে উঠেছে। পেছন থেকে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীকে মদ যোগাচ্ছে বিদেশী প্রভাবশালী মহল ও সংস্থা। অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতার কৌশলটি জঙ্গীগাষ্ঠিরই। এখন আবার এই জঙ্গীগোষ্ঠীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উন্নত ধরনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিধংসী বোমা ব্যবহারের নীলনকশা করা হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার পরিচয়ের এক যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের এক কেন্দ্রীয় নেতা যুক্তরাষ্ট্রে রহস্যজনক ভূমিকা পালন শেষে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। লন্ডনে অবস্থানরত অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার নাশকতার নীলনকশার ছক কষতে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধী দলের এক ব্যারিস্টার নেতা। লবিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিদেশী রাজনীতিক, আইনজীবী, মানবাধিকার সংস্থা, সংবাদ মাধ্যম সবকিছু মিলিয়েও সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে না পেরে এখন বড় ধরনের ভয়াবহ নাশকতার ছক কষছে তারা। লন্ডন থেকে রিমোট-কন্ট্রোলে দেশের ভেতরে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে গোয়েন্দা সংস্থা।
×