ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দুই দিন পর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা দুই দিন সূচকের পতনের পরে সপ্তাহের তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। ব্যাংকসহ বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার দিনে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক বেড়েছে প্রায় ১ শতাংশ। তবে সূচক বাড়লেও সেখানে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা কমেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত দুই দিনে বিনিয়োগকারীদের দ্রুত মুনাফা তোলার প্রবণতা এবং অতি রক্ষণাত্মক আচরণের কারণেই বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছিল। কিন্তু মঙ্গলবারে বেশ কিছু কোম্পানির দর আবার কমে যাওয়ার কারণেই অনেকেই শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়িয়েছেন। ফলে বাজারে এটিরই প্রতিফলন ঘটেছে। বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচকের সামান্য উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। সারাদিন সূচকের ওঠানামার পরে মঙ্গলবার দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৩০.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩১২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৮টি, কমেছে ৮৩টি আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থানটি মঙ্গলবারে দখল করেছে প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩৯ ভাগ। এরপরে আরও চারটি খাতের ১০ শতাংশের বেশি লেনদেন হয়েছে। সারাদিনে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের মোট ২৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১১ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ২৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ০২ শতাংশ। মঙ্গলবার ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আমরা টেকনোলজিসের শেয়ার। দিনভর এ কোম্পানির ৩০ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৯টি শেয়ার ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া বেক্সিমকোর ১০ কোটি ১৬ লাখ, গ্রামীণফোনের ৯ কোটি ৯৬ লাখ, ইফাদ অটোসের ৮ কোটি ১১ লাখ, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্টের ৭ কোটি ৩২ লাখ, অগ্নি সিস্টেমের ৬ কোটি ৩৯ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৫ কোটি ৬৭ লাখ, মবিল যমুনা বিডির ৫ কোটি ৪৯ লাখ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্সের ৪ কোটি ২৫ লাখ ও বেক্সিমকো ফার্মার ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইনটেক, সায়হাম কটন, ইন্টার ন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো, ফার্স্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, অগ্নি সিস্টেম ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইমাম বাটন, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, এআইবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ন্যাশনাল টি, আইএসএন, ইফাদ অটোস, এ্যাপেক্স ট্যানারি, ইসলামিক ইন্স্যুরেন্স ও সামিট পোর্ট এলায়েন্স। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। গত দুই দিনের পতনের পরে বিনিয়োগকারীদের ক্রয়াদেশ বাড়ানোর কারণে সূচকের এই উর্ধগতি। দিনশেষে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৯শ’ ১৪.৬৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ৮২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো, আমরা টেকনোলজিস, ইফাদ অটোস, অগ্নি সিস্টেম, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, ন্যাশনাল ফিড মিল কোম্পানি লিমিটেড, ফারইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডায়িং লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল।
×