ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সৈয়দপুর-ঢাকা বিমান যাত্রীদের হয়রানি

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সৈয়দপুর-ঢাকা বিমান যাত্রীদের  হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সৈয়দপুর-ঢাকা পথে বিমানের টিকেট নিয়ে তেলেসমাতি কারবার শুরু হয়েছে। লাগাতার অবরোধ কর্মসূচীকে পুঁজি করে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশ পথে বিমানের টিকেট বিক্রি নিয়ে একটি অসাধু চক্র যাত্রীদের পদে পদে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিমানের ঢাকাগামী একাধিক যাত্রী জানান, সৈয়দপুর থেকে দুটি বিমান ইউনাইটেড এয়াওয়েজের ও ইউএস বাংলা ঢাকার পথে চলাচল করে থাকে। অবরোধের আগে বিমানের টিকেট মূল্য ছিল ৩ হাজার ৫শ’ টাকা। এতো কম মূল্যের টিকেট হলেও সে সময় বিমানে সিট অনুযায়ী যাত্রী হতো না। কিন্তু অবরোধ শুরু হবার পর বিমানে ঢাকার যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এতে যাত্রীদের জানানো হয়, সৈয়দপুরে বেসরকারি বিমানের ৫টি স্তরে সিট (টিকেট) বিক্রয় করা হতো। বর্তমান ৪টি স্তরের টিকেট বিক্রয় করা হচ্ছে। যার মূল্য ৪ হাজার ৫০০ টাকা, ৬ হাজার ১৭৫ টাকা, ৭ হাজার ১৭৫ টাকা ও ৮ হাজার ১৭৫ টাকা। কিন্তু এই মূল্যে কিছু অসাধু চক্র আগে থেকেই সিট বুকিংয়ের মাধ্যম কৃত্রিম টিকেট সঙ্কট সৃষ্টি করছে। এই সঙ্কট সৃষ্টি করে জরুরী যাদের ঢাকা যাওয়ার প্রয়োজন তাদের কাছে টিকেট ম্যানেজের নামে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে। সেই টিকেটে যাত্রীদের নাম ঠিকানার কোনো মিল থাকছে না। সিটে লেখা নামে অনেক সময় ভিন্ন যাত্রী যাত্রা করছে। যা বিমান আইনের পরিপন্থী। এ বিষয়ে সৈয়দপুর ইউনাইটেড এয়াওয়েজের ইনচার্জ আশরাফুল হক জানান, বেশ কিছুদিন থেকে এই ধরনের সমস্যাগুলো চোখে পড়ছে। যেখানে টিকেটের সিটের টিকেটের নাম ঠিকানা আর যাত্রীর বিবরণে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে সন্দেহ হলে আমরা যাত্রীকে ফিরিয়ে দিয়ে থাকি। এতে যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক যাত্রী আবার অভিযোগ করে বলেন, যাত্রার এক সপ্তাহ আগে কোন কমিশন এজেন্টে বিমানের টিকেট বা সিট বুকিংয়ের জন্য আগাম ২ হাজার টাকা জমা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে একদিন পর যাত্রা বাতিল করতে চাইলে আরও ৩ হাজার টাকা দাবি করে বসে ওই এজেন্ট। এ ব্যাপারে সৈয়দপুর প্লাজাসহ বিভিন্ন স্থানের বিমানের টিকেট বিক্রেতারা জানায়, নিয়ম অনুযায়ী তারা টিকেট বিক্রি ও বা কোন যাত্রী যাত্রা বাতিল করতে চাইলে তা বাতিল করে থাকেন।
×