ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অর্ধশতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত নৌকা ও ট্রলারডুবি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অর্ধশতাধিক কাঁচাঘর  বিধ্বস্ত নৌকা ও  ট্রলারডুবি

সংবাদদাতা, আমতলী, ১৬ ফেব্রুয়ারি ॥ রবিবার রাতে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। এ ঝড়ে বঙ্গোপসাগর , পায়রা ও বিশখালী নদী মোহনায় মাছ ধরার সময় ৪ টি ট্রলার ও ৮ টি নৌকা ডুবে যায়। এতে ২০ জেলে আহত হয়েছে। অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। সহাস্রাধিক গাছপালা উপড়ে গেছে। ৬ ঘণ্টা বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ ছিল। জানা গেছে, রবিবার রাত দেড়টার দিকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু“ হয়। ৩০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের কবলে তালতলীর বঙ্গোপসাগর, পায়রা ও বিশখালী নদীর মোহনায় মাছ ধরার ৪ টি ট্রলার ও ৮ টি জেলে নৌকা ডুবে যায়। ট্রলার ও নৌকার জেলেরা সাঁতরে তীরে উঠে। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নৌকা সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লাখ টাকা বলে স্থানীয়দের ধারণা। এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে আমতলী ও তালতলীর বিভিন্ন স্থানে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর ও বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। সহাস্রাধিক গাছপালা উপড়ে যায়। ঝড় শুরুর সাথে সাথে বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনে সমস্যা হওয়ায় ৬ ঘণ্টা বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকে। সোমবার সকাল ৮ টায় বিদ্যুত সরবরাহ পুনঃরায় চালু হয়। আশ্রয়কেন্দ্র ল-ভ- নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল থেকে জানান, নড়াইলের বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে রবিবার রাত দেড়টায় ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে। ঝড়ে কালিয়া উপজেলার চোরখালী আশ্রয়ণ কেন্দ্র ল-ভ- হয়েছে। আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড়সহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রচ-বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ১১টি ব্যারাকের টিনের চালা উড়ে গিয়ে আশপাশের এলাকায় আছড়ে পড়ে। এসময় শিশুসহ ৩ জন আহত হয়। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৫টি পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুত লাইন ভেঙ্গে পড়েছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১২ ঘ-া পল্লীবিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিল।
×