ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

উড়োজাহাজ ক্রয়ে দুর্নীতি

ইউনাইটেড এয়ারের দুই পরিচালককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইউনাইটেড এয়ারের দুই পরিচালককে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উড়োজাহাজ ক্রয়ে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেডের সাবেক দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে রবিবার সকাল দশটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। দুদক সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে। দুই পরিচালক হলেন ইউনাইটেড এয়ারের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান ও খন্দকার মামুন আলী। দুদক সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক দর থেকে বেশি মূল্যে উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে ক্যাপ্টেন (অব.) তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ কিনেছেন আন্তর্জাতিক দর থেকে অনেক বেশি দামে। উড়োজাহাজ কেনার নামে অনিয়মের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুসারে, খুচরা যন্ত্রাংশ প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রাপ্ত সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে ক্রয় করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ দরপত্র ছাড়াই শুধু প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের একক সিদ্ধান্তে উড়োজাহাজ কিনেছে। বিমান সংস্থাটি ২০ বছরের পুরনো উড়োজাহাজ কিনেছে আন্তর্জাতিক দর থেকে অনেক বেশি দামে। এ ছাড়া একই সময় কেনা একই মডেলের উড়োজাহাজ তারা কিনেছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। যেমন এমডি-৮৩ মডেলের ৩ জাহাজের মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৬ লাখ ডলার, ৭৬ লাখ ২০ হাজার ডলার ও ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ ডলার। অন্য তিনটি মডেলের ক্ষেত্রেও একই রকম করা হয়েছে। নীতিমালা প্রণয়ন না হলেও কোম্পানির প্রয়োজনে ৯টি উড়োজাহাজ কেন হয়। এর মধ্যে রয়েছে এমডি-৮৩ মডেলের ৩টি উড়োজাহাজ। এতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮০ ডলার। দুইটি এয়ারবাস কেনা হয় দুই কোটি ৬২ লাখ ৫৫ হাজার ডলারে। দুটি এটিআর উড়োজাহাজ কেনা হয় এক কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে এবং ড্যাশ-৮ মডেলের দুটি উড়োজাহাজ কেনা হয় এক কোটি এক লাখ ২০ হাজার ৭৯৬ ডলারে। এ সব উড়োজাহাজ জ্বালানী সাশ্রয়ী নয়। সূত্র আরও জানায়, ইউনাইটেড এয়ারের এমডি ক্যাপ্টেন (অব.) তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক মোঃ মাহতাবুর রহমান, পরিচালক শাহিনুর আলম ও পরিচালক খন্দকার তাছলিমা চৌধুরী বর্তমানে বিদেশে রয়েছেন। বিদেশ থেকে ফিরলে আগামী মার্চ মাসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
×