ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বার্লিন উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র ‘ট্যাক্সি’

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বার্লিন উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র ‘ট্যাক্সি’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ জার্মানির বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৬৫তম আসরের পর্দা নামল শনিবার। বার্লিনে এই উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণভাল্লুক (গোল্ডেন বিয়ার) জিতে নিয়েছে ইরানের গৃহবন্দী জাফর পানাহি পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ট্যাক্সি’। সেখানেই পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। ভিন্নমতাবলম্বী মনোভাবের কারণে ২০১০ সাল থেকে ইরান সরকার পরিচালক পানাহিকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। এ কারণে পুরস্কার মঞ্চে দেখা যায়নি তাকে। তবে সোনার ভাল্লুকটি গ্রহণ করেন তার ভাতিজি হানা সায়েদি। চলচ্চিত্রটিতে তাকেও দেখা গেছে। বার্লিনে অশ্রুসিক্ত অনুভূতিতে হানা সায়েদি বলেছে, কিছু বলতে পারছি না। খুব আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ২০১১ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায় ‘দিস ইজ নট আ ফিল্ম’। ২০১৩ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ‘ক্লোজড কার্টেন’। আর এবার ‘ট্যাক্সি’। ‘ট্যাক্সি’ চলচ্চিত্রে ইরানের সমকালীন অবস্থার প্রতি নিজের ভাবনা তুলে ধরেছেন তিনি। এটি নির্মাণের জন্য একটি হলুদ রঙা ট্যাক্সি নিজেই চালিয়েছেন পানাহি, ইরান সরকারের নজরদারি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন মাউন্ট ড্যাশবোর্ড ক্যামেরা। এবারের উৎসবে মর্যাদাজনক পুরস্কার স্বর্ণভল্লুকের জন্য লড়াই করেছে মোট ১৯টি চলচ্চিত্র। ওয়ার্নার হারজগের ‘কুইন অব দ্য ডেজার্ট’ (নিকোল কিডম্যান) ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে। মার্কিন নির্মাতা ড্যারেস এ্যারোনফস্কির নেতৃত্বে কাজ করেছে বিচারক প্যানেল। ‘ট্যাক্সি’র পুরস্কারজয় প্রসঙ্গে ড্যারেন বলেছেন, গল্প বলা ও ভাল কাজ করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা বা প্রতিকূলতা প্রায়ই চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উদ্বুদ্ধ করে। আবার কখনও সেসব সীমাবদ্ধতাই কাজকে নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি শিল্পীর মনকে ভেঙে দেয়। মন ভেঙে যাওয়ার পরও এবং ক্ষোভ ও হতাশায় ডুবে থাকা সত্ত্বেও ‘ট্যাক্সি’র মাধ্যমে জাফর পানাহি চলচ্চিত্রের জন্য তৈরি করে দিলেন প্রেমপত্র। চলচ্চিত্র, কমিউনিটি, দেশ ও দর্শকের জন্য তার ভালবাসায় পরিপূর্ণ এই চলচ্চিত্র। বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অন্য শাখায় রৌপ্য ভালুøক বিজয়ীরা হলেন- সেরা অভিনেত্রী চার্লোট র‌্যাম্পলিং (ফোর্টি ফাইভ ইয়ারস), আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র না ইয়াং-কিল পরিচালিত ‘হোসানা’, সেরা চিত্রনাট্য এল বোতন ডি নাকার (প্যাট্রিসিও গাজম্যান), অডি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্লানেট সিগমা (মোমোকো সেতো), চিত্রগ্রহণ, সম্পাদনা, সঙ্গীত, পোশাক, শিল্প নির্দেশনা ভিক্টোরিয়া (চিত্রগ্রাহক স্টার্লা ব্র্যান্ড গ্লোভলেন)।
×