ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফিদে জোনাল প্রেসিডেন্টকে দাবা ফেডারেশনের সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ফিদে জোনাল প্রেসিডেন্টকে দাবা ফেডারেশনের সংবর্ধনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেখ মনি আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশে সফররত বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের জোনাল (৩.২) প্রেসিডেন্ট এবং নেপাল দাবা ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রাজেশ হরি জোশিকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। একই সঙ্গে কমনওয়েলথ চেস এ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ায় দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী সাইফুল তারেককেও সংবর্ধিত করেছে ফেডারেশন। রবিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তিন সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য, নেপাল চেস এ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড মেম্বার নারায়ণদাস গামেল, দাবা খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি এনায়েত হোসেন ও আমীর আলী রানা। সংবর্ধিত হওয়ার পর রাজেশ জোশি বলেন, ‘এদেশের মানুষ প্রাণোচ্ছ্বল, সংগ্রামী এবং অতিথিপরায়ণ। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আমাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমীর আলী রানাকে। উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পায় ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের নিয়াজ মোরশেদ। এরপর আরও চারজন যুক্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশের পরে গ্র্যান্ডমাস্টার পেয়েও ভারত অনেক এগিয়ে আছে। তাদের এখন ৪৫ জন জিএম। তাদের একটি প্রদেশ মহারাষ্ট্রের দাবার পেছনের বাজেট ২০ কোটি রুপী। এ জন্য সেখান থেকেই বেড়িয়ে এসেছে ৩০ গ্র্যান্ডমাস্টার! তাছাড়া রয়েছে আরও কয়েক কোটি রুপীর বেসরকারী সাহায্য। ফিদে বাংলাদেশের দাবার উন্নয়নে সবকিছু দেবে। ডিজিটাল বোর্ড, ডিজিটাল ঘড়িসহ আরও অনেককিছু। আর্থিক সাহায্যও রয়েছে। তবে সবার আগে সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল দাবা ছাড়া কোনভাবেই দেশের দাবার উন্নতি সম্ভব নয়। এখন থেকেই এটার দিকে নজর দিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতের জিএম ও আইএমরা বেড়িয়ে আসবে। এদেশের ব্যাপক উন্নতি হলেও দাবায় উন্নতি হয়েছে কম। শ্রীলঙ্কা বার বার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে। বাংলাদেশ কেন তা পারছে না। এটা ভেবেই আমি আশ্চর্য!’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাবা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মতিয়া চৌধুরীর কাছে অনুরোধ জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন দাবা ফেডারেশনের বহু বছরের লালিত স্বপ্ন ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা প্রতিযোগিতা’ আয়োজনের জন্য ২ বা ৩ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য করেন। এছাড়া ফেডারেশন থেকে আরও আবেদন জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের দাবা উন্নয়নে ৩০০ দাবা ঘড়ি, ২০ ডিজিটাল দাবা বোর্ড এবং ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দিয়ে সাহায্য করেন।
×