ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিলার-ডুমিনির বিশ্বরেকর্ডে প্রোটিয়াদের জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মিলার-ডুমিনির বিশ্বরেকর্ডে প্রোটিয়াদের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ পর্যন্ত যাই ঘটুক দক্ষিণ আফ্রিকাকে কখনই বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে ফেবারিটের তালিকার বাইরে রাখা যায়নি। এবারও বিশ্বকাপ জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ফেবারিট প্রোটিয়া শিবির। প্রতি আসরের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও তীরে এসে তরী ডোবানোর যে দুর্ভাগ্যটা লেগে আছে সে কারণে চোকার্স নামটা লেগে আছে। এবারও শুরুটা ভালভাবেই করল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিবেশী প্রতিপক্ষ জিম্বাবুইয়েকে রবিবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ৬২ রানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনি জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ২৫৬ রানের জুটি গড়ে নতুন বিশ্বরেকর্ডের জন্ম দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রোটিয়ারা। জবাব দিতে নেমে ৪৮.২ ওভারে ২৭৭ রান করে থেমে যায় জিম্বাবুইয়ে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই ব্যাটে-বলে লড়ে অবশ্য হ্যামিল্টনবাসীর মন জয় করেছে তারাই। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে এবার বিশ্বকাপ অভিযান শুরুর দিনেই প্রোটিয়া শিবিরের প্রতিপক্ষ পার্শ্ববর্তী দেশ জিম্বাবুইয়ে। টস হেরে গেলেও অবশ্য ব্যাটিংটাই পেয়েছে প্রোটিয়াসরা। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে জিম্বাবুইয়ে। প্রথম ১০ ওভারে প্রোটিয়ারা মাত্র ২৮ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলীয় ৮৩ রানের মধ্যেই সাজঘরে তারা ফেরত পাঠায় কুইন্টন ডি কক (৭), হাশিম আমলা (১১), ফাফ ডু প্লেসিস (২৪) ও ভিলিয়ার্সকে (২৫)। তবে এরপরই যেন দাবার ছক পাল্টে যায়। সব প্রচেষ্টাই বিফল হয়ে যায় জিম্বাবুইয়ে বোলারদের। মিলার ও ডুমিনি উইকেটে থিতু হয়ে যান। সব আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন জিম্বাবুইয়ে বোলারদের। এ দুই ব্যাটসম্যানকে আটকানোর জন্য আট বোলারকে ব্যবহার করেও কোন কাজে আসেনি। সবাইকে ব্যর্থ করে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন মিলার-ডুমিনি। পঞ্চম উইকেটে ২৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তোলেন তারা। এ জন্য মাত্র ১৭৮ বল খেলেছেন এ জুটি। শেষ ১০ ওভারে তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রান ওঠে ১৪৬। পঞ্চম উইকেটের নতুন বিশ্বরেকর্ড হয়েছে তাদের জুটিতে। এর আগে পঞ্চম উইকেটে ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ও ইয়ন মরগান আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত বছর সেপ্টেম্বরে ২২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে যে কোন উইকেটের সেরা জুটি। আর ৫ ও ৬ নম্বর ব্যাটসম্যানের একইসঙ্গে সেঞ্চুরির ঘটনা তৃতীয় এর আগে গত বছর ইংল্যান্ড এবং ১৯৯৭ সালে ভারত এমন ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছিল। ৪ উইকেটে ৩৩৯ রানের বড় পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। মিলার মাত্র ৯২ বলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় ১৩৮ এবং ডুমিনি ১০০ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারেই আসে ৯৬ রান। জবাব দিতে নেমে ভালভাবেই শুরুটা করেছিল জিম্বাবুইয়ে। ইনজুরির গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে প্রোটিয়া বোলিংয়ে পরিবর্তিত বোলার হিসেবে ডেল স্টেইনও ছিলেন। তবে দমে যায়নি জিম্বাবুইয়ে। সিকান্দার রাজা (৫) দ্রুত ফিরে গেলেও চামু চিবাভা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা জোড়া অর্ধশতক হাঁকান। দ্বিতীয় উইকেটে ১০৫ রান তোলেন তারা। চিবাভা ৮২ বলে ১০ চারে ৬৪ এবং মাসাকাদজা মাত্র ৭৪ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রান করে ফিরে যান। এরপর ব্রেন্ডন টেইলর লড়ার জন্য কোন সঙ্গী পাননি। ৪০ বলে ৪০ করে তিনিও ফিরে যাওয়ার পর জিম্বাবুইয়ের প্রতিরোধ শেষ হয়ে যায়। ১০ বল বাকি থাকতেই ২৭৭ রানে থামে তাদের ইনিংস।
×