ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উইন্ডিজ-আইরিশ মুখোমুখি আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

উইন্ডিজ-আইরিশ মুখোমুখি আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে গ্রুপ ‘বি’তে আজকের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড। নিশ্চিত ফেবারিট দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ও একবারের ফাইনালিস্ট ক্যারিবীয়রা। ১২ দলের আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে উইন্ডিজ অষ্টম স্থানে, আইরিশরা তলানিতে! কেবল র‌্যাঙ্কিং নয়, একমাত্র ক্রিকেটের গৌরবময় অনিশ্চয়তা ছাড়া আর কিছুই আয়ার‌্যান্ডের পক্ষে নয়। ও হ্যাঁ, সাম্প্রতিক ঘরে-বাইরে বেশ অস্থির সময় পার করছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আনকোড়া জেসন হোল্ডারকে অধিনায়ক করে বিশ্বকাপের দল গঠন করতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। এটি হতে পারে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও এড জয়েসদের জন্য আশার কারণ! র‌্যাঙ্কিংই প্রমাণ করে সম্প্রতি মাঠের ক্রিকেটেও অবস্থাটা ভাল নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি২০ জিতলেও টেস্ট-ওয়ানডে দুই সিরিজেই হারে তারা। শেষ পাঁচ ওয়ানডের চারটিতে হার জেসন হোল্ডারদের। তবে শক্তির বিচারে আয়ারল্যান্ড এতটাই পিছিয়ে যে নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেললে অনায়াস জয় পাবে ক্যারিবীয়রা। বিতর্কিতভাবে নেই ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরেন পোলার্ড, বাদ পড়েছেন রবি রামপল, এ্যাকশন সমস্যার জন্য শেষ মুহূর্তে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন স্পিন তারকা সুনিল নারাইন। তবে আছেন ড্যারেন সামি, মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেল, কেমার রোচরা। যার কথা বিশেষভাবে না বললেই নয় আছেন সেই ক্রিস গেইলও। ইনজুরি-ফর্মহীনতায় অনেকেই এবার তাকে হিসেবে রাখছেন না। এটা ভুল। নিজের দিনে ৩৫ বছর বয়সী জ্যামাইকান কী করতে পারেন, সেটি উইন্ডিজের এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। টেস্টে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তিন ম্যাচের টি২০তে ২-১এ জয় পায় ক্যারিবীয়রা। দুটিতেই নায়ক গেইল। কে বলবে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি? প্রথম ম্যাচে ৩১ বলে ৭৭, দ্বিতীয়টি ৪১ বলে ৯০! কেবল এই দুটি ম্যাচ দিয়ে বিচার করলে অবশ্য গেইলকে অপমান করা হবে। ব্যাট হাতে যে কোন মুহূর্তে, যে কোন প্রতিপক্ষকে একাই দুমড়ে-মুচড়ে দিতে সক্ষম বাঁ হাতি উইলোবাজ। পনেরো বছরের ক্যারিয়ারে ক্রিকেটবিশ্ব তা অনেকবার দেখেছে। তবে দলের বড় তারকা উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড এ নিয়ে চিন্তিত নন! কোচ ফিল সিমন্স আছে বলেই অঘটন ঘটাতে চায় তারা। ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল সম্পর্কে ফিলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব আমরা। সে দলটির অনেকে অনেক ভিডিও দেখিয়েছে। আমরা সেগুলো দেখে গবেষণা করেছি। বের করেছি ওদের দুর্বলতা। প্রত্যেক সদস্যই এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তি-দুর্বলতা সম্পর্কে জানে! আমরা প্রস্তুত বলেন পোর্টারফিল্ড। সমীকরণ বদলে দেয়ার সামর্থ্য রয়েছে পল স্টারলিং, নেইল ও‘ব্রায়েন, কেভিন ওব্রায়েন ভ্রাতৃদ্বয়ের, আছে জর্জ ডকরেল, জন মুনির মতো ধুরন্ধর ক্রিকেটার। বেশিরভাগই ইংলিশ কাউন্টিতে খেলে থাকেন। আর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন প্রায় এক। দ্রুতগতির বাউন্সি উইকেটে দৃশ্যপটে হাজির হতে পারেন এড জয়েস-ডকরেলরা। ২০১৩ সালে শক্তিধর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তারা। ওই ম্যাচে ১১২ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন পোর্টারফিল্ড। ২০০৭ বিশ্বকাপে জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে টাই করেছিল আইরিশরা।
×