ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছেই বিটিসিএলের পাওনা ৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছেই বিটিসিএলের পাওনা ৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা

সংসদ রিপোর্টার ॥ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছেই বিটিসিএলের পাওনা ৫৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এসব বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রবিবার জাতীয় সংসদে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী বকেয়া বিলের শীর্ষে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের বকেয়া বিলের পরিমাণ ১০ কোটি ৯ লাখ। এরপরেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা ৮ কোটি ৩১ লাখ। তৃতীয় স্থানে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে বকেয়া বিলের পরিমাণ ৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মনোয়ারা বেগমের অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৩ লাখ। মোবাইল ফোনে চাঁদা দাবি, হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উত্ত্যক্তকরণসহ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রতিরোধে বিটিআরসি থেকে মোবাইল অপারেটরদের জন্য অবশ্য পালনীয় সংযোগ (রিম/সিম)-এর গ্রাহক নিবন্ধন সংক্রান্ত গাইড লাইন জারি করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেন ও অপরাধ মোকাবিলায় ন্যাশনাল আইডি ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন কার্য করা হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চের মধ্যেই এ সংক্রান্ত কার্যাদেশ চূড়ান্ত করা হবে। দেশে আসছে ‘ফোর-জি’ প্রযুক্তি ॥ ওবায়দুল কাদের জানান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকার রোডম্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘টু-জি, থ্রি-জি নেটওয়ার্ক’ সম্প্রসারণ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ফোর-জি (এলটিই) প্রযুক্তি চালুকরণ নামক তিনটি প্রকল্প পরিকল্পনাধীন রয়েছে। সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গ্রাহক বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় টু-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, থ্র্রি-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ফোর-জি (এলটিই) প্রযুক্তি চালুকরণ নামক তিনটি প্রকল্প পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে উপজেলা লেভেল পর্যন্ত থ্রি-জি সেবা এবং টেলিটকের নেটওয়ার্ক সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। তিনি জানান, চীন সরকারের ঋণ সহযোগিতায় ১৭ দশমিক ২৮ লাখ থ্রি-জি গ্রাহক এবং ৪৪ দশমিক ৯ লাখ টু-জি গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য ‘ইন্ট্রোডাকশন অব থ্রি-জি টেকনোলজি এ্যান্ড এক্সপেনশন অব টু-জি নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
×