স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ স্বাভাবিক হয়ে আসা উত্তরবঙ্গে পুনরায় অস্থিতিশীলতা তৈরির পাঁয়তারা করছে জামায়াত-শিবির। বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃত্বে ২০ দলের লাগাতার অবরোধ ও হরতাল সারাদেশের ন্যায় উত্তরবঙ্গেও ঝিমিয়ে পড়েছে। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে নেতারা মাঠে না থাকলে এবার এ অঞ্চলে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মরণ কামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েই সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। দলের নেতাকর্মীরা রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকায় গোপনে অবস্থান নিয়েছেন বলে খবর ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। তারা বড় ধরনের নাশকতার সঙ্গে গুপ্ত হামলাও চালাতে পারে। এজন্য বিপুল অঙ্কের টাকাও সংগ্রহ করেছে। এতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ওপর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত তিন দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় শতাধিক জামায়াত শিবির ও বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গের আট জেলার জীবনযাত্রা স্বাভবিক হয়ে আসে। ফলে চলছে গণপরিবহন, মালবাহী ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও দূরপাল্লা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী কোচ। হাট-বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঙ্গাভাব ফিরে পাচ্ছে। সব কিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেতে শুরু করেছে। ফলে বিএনপি-জামায়াতসহ ২০ দলের দেশব্যাপী চলমান লাগাতার অবরোধ ও বিচ্ছিন্ন হরতালে ধীরে ধীরে মøান হতে থাকে। ঝিমিয়ে পড়ে অবরোধ ও হরতাল। গ্রেফতার এড়াতে রংপুর বিভাগের শীর্ষ বিএনপি নেতারা আত্মগোপন করে রয়েছে। বরাবরের মতোই তারা স্বাভাবিক হয়ে আসা উত্তরবঙ্গের সড়কে চলচলকৃত যানবাহন টার্গেট করে হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া রেললাইনের সিøপার উঠিয়ে ট্রেন চলাচলে বিঘœ ঘটাবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: