ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মমতাজ লতিফ

জঙ্গীমাতা, জঙ্গীভ্রাতা...

প্রকাশিত: ০৩:০৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জঙ্গীমাতা, জঙ্গীভ্রাতা...

আজ সেই ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নবেম্বরের ভয়াল দানব উত্থানের কালটিকে স্মরণে পড়ছে! মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, দীর্ঘকালের জেল-জুলুম-নির্যাতন, বৈষম্য সহ্য করে, জীবন উৎসর্গে ব্রতী বিপুল মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানী নীলনক্সার অনুসরণে পিছিয়ে নেয়ার সূচনা ঘটিয়েছিল যে দানবেরা, তাদের চেহারা দিনে দিনে জাতির কাছে আজ স্পষ্ট হয়েছে! আজ তাই তরুণ প্রজন্ম বিভ্রান্ত প্রবীণ প্রজন্মকে প্রশ্ন করছেÑ কোন মুক্তিযোদ্ধা কি কখনও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে? কোন মুক্তিযোদ্ধা কি মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিচালকদের জেলখানায় বন্দী অবস্থায় ঠা-া মাথায় খুন করতে পারে? মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, যুদ্ধশিশু না খেয়ে, রোগে ভুগে মারা যাবে আর যুদ্ধাপরাধীরা সমাজে ধন-সম্পদ অর্জন করে বলীয়ান হবে, সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করবে, শাসকে পরিণত হবেÑ এ অন্যায়, মানবতার রীতি ভাঙ্গা অন্যায়কে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এই সঙ্গে প্রবীণদের সমঝোতার রাজনীতি আমরা মানি না। মুক্তিযুদ্ধের অসম্পন্ন কাজÑ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তাদের সর্বোচ্চ দ- কার্যকর করে, তবেই আমরা ঘরে ফিরব। যুদ্ধাপরাধী-মিত্রদের বাংলাদেশ বিরোধী জনগণের রক্ত খেকো, মানুষ বেশি ডাইনি ও দানবদের প্রাণ ভোমরার জান কবচ করে তাদের নির্মূল করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ করব। বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিপক্ষের সব অশুভ শক্তিকে বিতাড়িত করে, তবেই আমরা আমাদের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব সম্পন্ন করতে সক্ষম হব। পাঠকের মনে পড়বে ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জিয়া, এরশাদ, খালেদাÑ এরা তিন স্বৈরশাসক, সেনাশাসক ও গণতন্ত্রের লেবাসধারী যুদ্ধাপরাধী-মিত্র, জঙ্গীমাতা খালেদার শাসনকাল ছিল বাংলাদেশের পেছনে চলার কলঙ্কজনক অধ্যায়। মাঝে ’৯৬ থেকে ২০০১, যখন দীর্ঘ একুশ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে শাসন ক্ষমতায় আসে, তখনই কেবল সফল অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়াসহ সফল কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও অনেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশকে দ্বিতীয়বার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও আদর্শে প্রতিষ্ঠিত করার এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে সফল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল! এই উন্নয়নকে ধূলিসাৎ করে ২০০১- এ নির্বাচনী ফল দখলকারী খালেদা-নিজামী-তারেক নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াত জোট! শুধু দুর্নীতি নয়, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্ব প্রদান, সবরকম সুযোগ-সুবিধা-ক্ষমতা প্রদান, তাদের উদ্যোগে জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিযবুত তাহরীর, আহলে হাদীস ইত্যাদি মৌলবাদী জঙ্গী দলের উত্থান ঘটিয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, হিন্দু ও আদিবাসীদের জান-মালের ওপর অব্যাহত হত্যাকা- হামলা-ধর্ষণ পরিচালনা করে বিশ হাজারের বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী হত্যা করেছে! এর মধ্যে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ ২৩ নেতাকর্মী, হুমায়ুন কবীর, মমতাজ উদ্দীন, মানিক সাহাসহ প্রায় ত্রিশের বেশি প্রগতিশীল সাংবাদিক নিহত হয়েছেন! শেখ হাসিনা তাঁর দেহরক্ষীর প্রাণের বিনিময়ে অলৌকিকভাবে প্রাণে বাঁচেন! এরা, খালেদা-নিজামী-তারেক বাংলাদেশে ভারতীয় জঙ্গী উলফা ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জঙ্গীদের অবাধে আস্তানা গাড়া ও দুই প্রতিবেশী দেশে হামলা পরিচালনা করে নিরাপদ পার্বত্য অঞ্চলের আস্তানায় ফিরে এসে বসবাসের স্থায়ী আবাসের বন্দোবস্ত করে! এই সময়েই খালেদা-তারেকের রক্ত পিপাসু চরিত্র উদ্ঘাটিত হয় এবং জনমনে তারা দুর্নীতিবাজ ছাড়াও ‘জঙ্গীমাতা’ ও ‘জঙ্গীভ্রাতা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে! ২০০৬-এর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান ও এ সরকারের সদস্য নির্বাচন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এর সদস্য, সচিব সব পদে দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগদানের জন্য এই যুদ্ধাপরাধী-মিত্র খালেদা জিয়া একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটিয়ে চলতে থাকলে একপর্যায়ে যখন সব নিয়মনীতি ভেঙ্গে বিএনপি দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দীনকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের পদে নিযুক্ত করে, তখন দেশের পরিস্থিতি এমন সঙ্কটময় হয়, যেন এ দেশের জাতির ভাগ্যনিয়ন্তা খালেদা-তারেক, আর কারও কোন ভূমিকা নেই! এমন সময়ে জাতির এই মহাসঙ্কটকালে সেনাসমর্থিত একটি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় এবং ২০০১-এর ভুল ও সোয়া কোটি জাল ভোট সংবলিত ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নতুন করে প্রণয়ন করা হয়। দুই বছর পর সেনাসমর্থিত সরকার ২০০৮-এ যে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তাতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চৌদ্দ দলীয় ঐক্য জোট, মহাজোট। এরপর ২০১৪’র ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুসারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, খালেদা-তারেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে দাবি তোলে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত, শেখ হাসিনা সংলাপের আহ্বান করে এবং একটি সংবিধানসম্মত ব্যবস্থা খুঁজে বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এমন কি, নির্বাচনকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় বিএনপিকে প্রদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে সরকার! কিন্তু, দেশী-বিদেশী কোন ফর্মুলাই খালেদা-তারেক গ্রহণে অসম্মত হয়, যদিও বিএনপির অন্য সদস্যরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি সমঝোতায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছিল! স্মর্তব্য, খালেদা-তারেক নিজেরাই নির্বাচন বর্জন করে সে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা দিতে গিয়ে শুরু করে ২০১৩’র নবেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারির অদৃষ্টপূর্ব, চরম অমানবিক পেট্রোলবোমা ছুড়ে কার, সিএনজি, বাস, ট্রাক, রেলের চালক-যাত্রীদের জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারার নব্য আলবদরীয় কায়দার হত্যাকা- সংঘটন, হাজার হাজার বৃক্ষ উৎপাটন, রাজপথ কেটে খাল-পুকুর-তৈরি, রেলপথ উৎপাটন, পুলিশ-বিজিবি নিধন, হিন্দু নারী ধর্ষণ, তাদের বসতঘর, ক্ষেত-খামার জ্বালিয়ে দেয়া, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যা, তাদের জীবিকা, ব্যবসায় অগ্নিসংযোগ! ’৭১-এ মানুষ পথে-ঘাটে, নদীতে নৌকায় পালাতে পেরেছিল! ২০১৩তে বাঙালী-পাকিস্তানী নেতা খালেদার ঘরে-বাইরে বাঙালী নিধনে মত্ত ছিল! এর আগে একদিকে খালেদা হেফাজতের ‘তেঁতুল হুজুরের’ দলের হাজার হাজার সদস্য, শিবির-বিএনপি ক্যাডারদের সহযোগিতায় ঢাকায় মতিঝিলে একদিন একরাত যে তা-ব, অগ্নিকা-, কোরান পোড়ানো, বৃক্ষ, দালান-অফিস-গাড়ি, রাজপথ ধ্বংস করে সরকার পতনের চেষ্টা করেছিল, তা একটি স্থানে কেন্দ্রীভূত বর্বরতার কলঙ্কজনক উদাহরণ! একটা কথা পাঠককে স্মরণে রাখতে হবে- ’৯২ সালে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ‘৭১-এর ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি’ গঠিত হলে গণআদালত থেকে শুরু করে এর সব সমাবেশ খালেদা ভ-ুল করার নির্দেশ দিয়েছে, যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে তার বাজেয়াপ্ত করা নাগরিকত্ব ফেরত দিয়েছে এবং গণআদালতের উদ্যোক্তা-আয়োজক, দেশের ২৪ জন বরেণ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছিল যেটি বিচারপতি হাবিবুর রহমানের হস্তক্ষেপে বাস্তবায়িত হয়নি কিন্তু আদেশটি জাহানারা ইমাম মাথায় নিয়ে মারা গেছেন! এই ভূমিকাগুলো কি তাকে যুদ্ধাপরাধী-মিত্র প্রমাণ করে না? স্মরণ করতে হবে- এই খালেদার ’৯৬-২০০১ পর্যন্ত সময়ে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে নাশকতা ও ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা সংঘটনের বিষয়ও! এ সময়ে কাজী আরেফসহ অনেককে হত্যা করেছিল সে সময়ে জন্ম নেয়া হরকাতুল জিহাদ ও অন্য জঙ্গীগোষ্ঠী! এ সময়েই তাদের দ্বারা বাংলাদেশে প্রথম সংঘটিত হয় পহেলা বৈশাখের ছায়ানটের প্রভাতী অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, যাতে হতাহত হয় অনেক বাঙালী! অন্যদিকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দু’বছরের মাথায় গঠিত হয় পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিরোধী- ইউপিডিএফ গোষ্ঠী বিরোধী দলের প্রশ্রয়ে যারা সবই বিএনপির উদ্যোগে সংঘটিত হয়! প্রায় প্রতিদিন দেশের নানা জেলায় এ সময় সংঘটিত হয়েছে অসংখ্য নাশকতামূলক জাতির উন্নয়ন বিরোধী অপতৎপরতা! ওপরে আলোচিত বিষয়ের সার কথার মধ্য থেকে একটি প্রশ্ন উঠছে বড় হয়েÑ স্বাধীন বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির শান্তিপূর্ণ নিরাপদ জীবন ও উন্নয়নের পথে একমাত্র শত্রু কে বা কারা? জনগণ বার বার বাস্তব পরিস্থিতি থেকে এ প্রশ্নের স্পষ্ট ও পরিষ্কার উত্তর পেয়েছে খালেদা ও তারেক এবং জামায়াত। এ উত্তরকে উচ্চশিক্ষিত সুশীল সমাজের একাংশ, বিদেশী রাষ্ট্র ও মিডিয়া ‘দুই দল’, ‘দুই নেত্রী’, ‘উভয় রাজনৈতিক দল’ ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে প্রকারান্তরে এক নেত্রীর জাতিবিরোধী খুন, হত্যা, দুর্নীতি ও অশান্তির অপরাজনীতিকে অপর নেত্রীর অসীম দেশপ্রেম, জনকল্যাণ, নারী-শিশু-দরিদ্রের উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিকে সমান গণ্য করার, সমান অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করার কৌশলী প্রচারণার ফাঁদে ফেলে অস্পষ্ট করে তুলেছে! যদিও, জাতির কল্যাণকামী দেশপ্রেমিক নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতিকে জনগণ, তরুণ প্রজন্ম আজ পার্থক্য করতে সক্ষম। তরুণ প্রজন্ম যখন বলেÑ আমরা সমঝোতার রাজনীতি চাই না, তারাও দেশের, জাতির প্রকৃত কল্যাণকামী নেত্রী কে, তাকে চিনতে ভুল করে না। এ প্রসঙ্গে পাঠককে আরেকটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিতে আহ্বান করব। ইউরোপের দেশে দেশে, জার্মানিতে হিটলারের অভ্যুত্থান যে সময়ে ঘটেছিল সে সময়ের জার্মানির ও ইউরোপের সুশীল সমাজ ও রাজনীতিকদের হিটলারের প্রতি নীরব প্রশ্রয়, নিষ্ক্রিয়তাকেই প্রধান কারণ বলে আজ বলা হয়। আজ ভাবলে শিউরে উঠি, যদি সে সময় সোভিয়েত রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হতো, যদি লেনিনের পর স্ট্যালিনের মতো নেতা না থাকত, তাহলে হিটলারের ইউরোপ দখলের কি করুণ অবস্থা হতো! যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিত্র বাহিনীতে থাকা সত্ত্বেও ‘ফল অব বার্লিন’, প্রধানত রুশ-জাতি, সেনা ও স্ট্যালিনেরই অবদান! দ্রুতই ইউরোপকে নাজিমুক্ত করতে সংঘটিত হয়েছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল বিচার ও ফাঁসি হয়েছে প্রধান নাজি নেতাদের, নাজি দলের! দ্রুতই ইউরোপজুড়ে সব দেশে নাজিবাদ নিষিদ্ধ হয়েছে। ইউরোপে একজন ব্যক্তিও যদি আজ নাজিবাদকে সমর্থন করে তাহলে, সঙ্গে সঙ্গে সে রাষ্ট্রদ্রোহী হবে, দ-িত হবে! বাংলাদেশেও বঙ্গবন্ধু সংবিধান দ্বারা এমনই যুদ্ধাপরাধী ও ধর্মভিত্তিক জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছিল, বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন কাজ পুরোদমে চালু ছিল, দেশী-বিদেশী ব্যক্তি, সংস্থা যুদ্ধশিশুদের দত্তক নিচ্ছিল, দেশ পুনর্গঠন ও পুনর্বাসনের বিশাল কর্মযজ্ঞের পাশে বঙ্গবন্ধু, তাঁর সরকার এবং সংবিধান প্রণেতারা জাতির জন্মের শত্রুদের নির্মূল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ভুল করেননি! তাহলে, পাশার দান উল্টে দিল কে? কারা? ’৭৫-এর খুনীরা এবং তাদের মদদদাতা মুশতাক এবং জিয়াউর রহমান। এখন, বর্তমানে জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে কে? নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারার নির্মম, বর্বর পন্থায় জাতির উন্নয়নে কর্মরত সরকার পতনের ডাক দেয় যে, বলাবাহুল্য সেই খালেদা জিয়া আর তার হুকুমদাতা তারেকই জাতির প্রধান শত্রু। সে যেমন একদিকে নিজের, তারেকের দুর্নীতি, হত্যাকা-ের পরিকল্পক ও হুকুমদাতার অপরাধের মামলা থেকে আত্মরক্ষা করতে এই ধ্বংসযক্ত চালাচ্ছে, তেমনি তার আদর্শিক মিত্র-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতেও সে আজ উন্মত্ত! আজ যদি একজন বিচ্ছু জালাল থাকত, তাহলে তার যোগ্য পরিণাম ’৭১-এর মোনায়েম খানের মতোই হতো! তার নির্দেশে ছোড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়ে নিহত শতাধিক নারী, পুরুষ-শিশু কিশোরের হত্যার জন্য খালেদার বিচারই এখন সময়ের একমাত্র দাবি। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×