ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউনুসকে নিয়ে তবু আশাবাদী ওয়াকার

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইউনুসকে নিয়ে তবু আশাবাদী ওয়াকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে নির্বাচকদের পরিকল্পনার বাইরে ছিলেন পাকিস্তানের সিনিয়র ক্রিকেটার ইউনুস খান। কিন্তু গত বছরের নবেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ একদিনের ম্যাচেই ১০৩ রানের অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। এরপরই বিশ্বকাপের মূল দলে জায়গা করে নেন ইউনুস খান। তবে সেই ইনিংসের পর আর নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ৩৭ বছর বয়সী এই পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান। নিউজিল্যান্ডে পৌঁছার পর পাকিস্তানের খেলা ছয় ম্যাচে ইউনুস খানের ব্যাট থেকে আসে মোট ৭২ রান। তারপরও ইউনুস খানের ব্যাটিং নিয়ে আশাবাদী পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনুস। তার বিশ্বাস দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে ইউনুস খান নিজের সেরাটা দিতে পারবেন। এ বিষয়ে ওয়াকার ইউনুস বলেন, ‘আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের পিচ খুবই চ্যালেঞ্জিং। যে কারণে প্রাথমিকভাবে এখানকার পিচে ব্যাটসম্যানদের লড়াই করতে হয়। তবে সে (ইউনুস খান) দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান। তার পারফর্মেন্স আমাদের দলের জন্য খুবই প্রয়োজন। আমি আশা করি সে দ্রুত তার ফর্ম ফিরে পাবে।’ বিশ্বকাপে ইউনুসের পারফর্মেন্স একেবারেই নিষ্প্রভ। আগের তিন বিশ্বকাপে মাত্র দুইবার ৫০ রানের কোটা ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ইউনুস খানকে দলে রাখলে পাকিস্তান তাদের তরুণ দুই খেলোয়াড় উমর আকমল এবং শোয়েব মাকসুদকে বাইরে রাখতে হবে। আগামী রবিবার বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচেই তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত। তবে ইউনুস খানকে নিয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু ভাবছে না পাকিস্তান। অবৈধ বোলিং এ্যাকশনের অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান বোর্ডের এক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাদের কারণেই বিশ্বকাপে সাঈদ আজমল জায়গা পাননি বলে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। এ বিষয়ে পিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ম্যাচ ফিটনেস না থাকার কারণে তাড়াহুড়ো করে আজমলকে বিশ্বকাপ দলে রাখা হয়নি বলে বলা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাকে দলে না রাখার আসল কারণ জানতে হলে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ফিরে যেতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও নির্ধারণী ডাম্বুলা ম্যাচে পাকিস্তান হেরে যায়। এর পর পিসিবির এক কর্মকর্তা রাগান্বিত হয়ে ড্রেসিং রুমে প্রবেশ করে এবং দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জবাবে আজমল ওই কর্মকর্তাকে বলেছিলেন, ড্রেসিং রুমে তার কোন কাজ নেই। তাই প্রবেশাধিকারও নেই। সেই যে শুরু। তার মাশুলটা বেশ ভালভাবেই দিতে হলো আজমলকে।
×