ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুস্থ শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই ॥ জিএম সৈকত

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দুস্থ শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই ॥ জিএম সৈকত

এই সময়ের তরুণ মেধাবী নাট্য পরিচালক জিএম সৈকত। মেধাবী এই পরিচালকের জন্মদিন আজ। থিয়েটারকর্মী হিসাবে এক সময় মঞ্চে নিয়মিত অভিনয় করতেন। এক সময় টিভি নাটক পরিচালনা শুরু করেন। শতাধিক নাটকের পরিচালক তিনি। নাট্য পরিচালক হিসাবে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।সুধিমহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তাঁর জন্মদিন ও সাম্প্রতিক কাজের ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে- কি নিয়ে ব্যস্ত আছেন? জিএম সৈকত : ধারাবাহিক ‘ছায়া’ নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। এছাড়া আগামী ঈদের ৪টি খ- নাটকের কাজ করছি। আপনার অনেক নাটক জনপ্রিয় হয়েছে? জিএম সৈকত : সেটা দর্শকরাই ভাল বলতে পারবেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ তারা আমার নাটক দেখেন বলে। আপনার শুরুর দিকটা জানতে চাই? জিএম সৈকত : আমি থিয়েটারের মানুষ। ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতিক অঙ্গণে বিচরণ। সেই সুবাদে থিয়েটার করার লক্ষে ২০০০ সালে ঢাকায় আসি। এরপর চয়নিকা এবং স্বরবীথি থিয়েটারের হয়ে ৪টি নাটকে শতাধিক প্রদর্শনীতে আমি অভিনয় করি। এ সময় টিভি নাটকের সিনিয়র পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেছি। এরপর ২০০৯ সালে আমি প্রথম টিভি নাটক নির্মাণ করি। আপনার নির্মিত প্রথম নাটক কি ছিল? জিএম সৈকত : আমার নির্মিত প্রথম নাটক ছিল ‘লটারি’। নাটকটি ২০০৯ সালে বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচার হয়। এ পর্যন্ত কতগুলো নাটক নির্মাণ করেছেন? জিএম সৈকত : এ পর্যন্ত আমি ১০৯টি নাটক বানিয়েছি। এর মধ্যে টেলিফিল্ম ছিল ২৩টি, ধারাবাহিক নাটক ১৭টি আর বাকি ৬৯টি একক নাটক ছিল। কতগুলো পুরস্কার পেয়েছেন? জিএম সৈকত : পরিচালক হিসেবে ১১টি পুরস্কার পেয়েছি। ২০১৩ সালে ঈদে বিটিভিতে প্রচারিত আমার পরিচালিত ‘মা’ নাটকটি শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছিল। এছাড়া গত বছর বিটিভিতে প্রচার হওয়া ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নাটকটি তৃতীয় হয়েছিল এবং সুধিজনদের কাছে অনেক প্রশংসা পেয়েছি। আপনার নির্মিত নাটকগুলো সাধারণত একটু ব্যতিক্রম হয়? জিএম সৈকত : দেখুন আমি গতানুগতিক ধারার নির্মাতা নই। বিশেষ করে দর্শককে শুধু হাসাতেই হবে এমন চিন্তায় বিশ্বাসী নই। আমার প্রধান উদ্দেশ্য হলো দর্শকদের বিনোদনের পাশাপাশি একটি ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রচার হওয়া বেশিরভাগ নাটকই দর্শক টানতে পারছেন না। এর কারণ কি? জিএম সৈকত : এর কারণ হলো নাটকের ভাল গল্প না হওয়া। আমাদের দেশের অনেক মেধাবী নির্মাতা আছেন যারা ভাল গল্প পান না বলেই কাজ করেন না। আমার মনে হয় নাটক মেকিং যত ভালই হোক না বা আর্টিস্ট যত জনপ্রিয়ই হোক না কেন দর্শক পছন্দ করে না। যদি না গল্প ভাল হয়। আমার মনে হয় এ বিষয়টি নির্মাতাদের খেয়াল করা উচিত। চলচ্চিত্র পরিচালনার কোন খবর? জিএম সৈকত : ইচ্ছে তো আছে তবে এই মুহূর্তে না। আপাতত নাটক নিয়েই থাকতে চাই। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? জিএম সৈকত : আমি আসলে দুস্থ শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আমার উপলব্ধী থেকে দেখেছি আমাদের দেশে অনেক গুণীশিল্পী শেষ জীবনে অসহায় জীবন-যাপন করেন। এমনকি অল্প বয়সেও কেউ অসুস্থ হলে তার খবর কেউ নেয় না। আমি এসব শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সে লক্ষে ইতোমধ্যে আমাদের দেশের এক সময়ের কয়েকজন অসহায় শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেছি। আপনাদের মাধ্যমে লেখালেখি হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের ভোরণ-পোষণের ব্যবস্থা করেছেন। আমি এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। এছাড়া আমি এ জন্য একটি শিল্পী ফান্ড গঠন করেছি। যেখানে আমার নাটকে অভিনেতা অভিনেত্রীরা ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেলে সেখান থেকে তারা ন্যূনতম এক হাজার টাকা দান করবেন। এছাড়া আমি অসুস্থশিল্পীদের চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছি। আশা করছি এর মাধ্যমে দুস্থ শিল্পীদের জন্য কিছু করতে পারব। আজ জন্মদিনে আপনাকে শুভেচ্ছা। জিএম সৈকত : আপনাকে এবং আমার অগনিত দর্শক ও ভক্তদের শুভেচ্ছো ও অভিনন্দন। -সাজু আহমেদ
×