ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইনজামাম হতে চান মাকসুদ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ইনজামাম হতে চান মাকসুদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তরুণ পাাকিস্তানী ব্যাটসম্যান শোয়েব মাকসুদ বলেছেন দুই যুগ অপেক্ষার অবসান ঘটাতে এবারের বিশ্বকাপে ইনজামাম-উল হকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চান তিনি। পাকিস্তান এ পর্যন্ত একবারই বিশ্বকাপ জেতে, ১৯৯২ সালে। সেবার, বিশেষ করে সেমিফাইনাল (৩৭ বলে ৬০) ও ফাইনালে (৩৫ বলে ৪২) চমৎকার ব্যাটিং করে ক্রিকেট বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এমনই তরুণ ইনজামাম। তেইশ বছরের ব্যবধানে পাকিস্তানী ভক্তরা এখনও সেই স্মৃতি ভুলতে পারেন না। সোমবার প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ উইকেটের ঘাম ঝড়ানো জয় পায় পাকিস্তান। অপরাজিত ৯৩ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাকসুদ। ‘ইনজামাম ছিলেন গ্রেট ক্রিকেটার। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পথে তিনি যা করেছেন, এবার আমি যদি একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারি তবে সেটি হবে দারুণ কিছু। ব্যক্তিগতভাবে আমি তার জন্য গর্ববোধ করি। তার ব্যাটিংয়ের ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হই।’ পাকিস্তানের হয়ে মাত্র ১৮ ওয়ানডে খেলেছেন প্রতিভাবান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তিনি আরও যোগ করেন, ‘এমনিতে ১৯৯২-এ ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপ জয়ী সেই দলটি আমাদের কাছে স্বপ্ন। জ্ঞান হওয়ার পর কত যে ওই বিশ্বকাপের ভিডিও দেখেছি ...। এবার দলে সুযোগ পাওয়ার পর তা আরও বেড়েছে। প্রতিদিনই ইউটিউবে ওই বিশ্বকাপের খেলা দেখি, ইনজামামের অসাধারণ ব্যাটিং দেখে অনুপ্রাণিত হই।’ মজার বিষয় সেবার হিসেবের বাইরে থেকে এই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড থেকে ট্রফি নিয়ে ঘরে ফিরেছিল ইমরান খানের দল। আর যে ইঞ্জিতে (ইনজামামের ডাক নাম) অনুপ্রাণিত মাকসুদের জন্মও সেই আইডলের জন্মস্থান মুলতানে (পাঞ্জাব)! বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৫২ রানে শীর্ষ তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কঠিন পরীক্ষাতেই পড়ে গিয়েছিল পাকিরা। সেখান থেকেই দলকে উদ্ধার করেন তরুণ মাকসুদ। ৯০ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৯৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ডানহাতি ব্যাটম্যানের ব্যাটিংয়ে ছিল প্রতিশ্রুতি ও ক্লাসের সমন্বয়। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ডের কাছে বিধ্বস্ত হয় মিসবাহ-উল হকের দল। ইনজুরির জন্য শেষ মুহূর্তে ছিটকে যান মোহাম্মদ হাফিজ-জুনায়েদ খানের মতো তারকা। নেই তুখোড় স্পিনার সাঈদ আজমল। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে মোটেই ফেবারিট নয় পাকিরা। এর মাঝে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচের সাফল্য উজ্জীবিত করবে তাদের। রবিবার চিরশত্রু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন। ‘এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ম্যাচ। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ সবসময় অন্যরকম, তার ওপর প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। দারুণ শুরুর অপেক্ষায় আমরা।’ বলেন মাকসুদ।
×