ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমেই কৃষি ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি সম্ভব

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

জৈবপ্রযুক্তির মাধ্যমেই কৃষি  ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি সম্ভব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে বাংলাদেশের এত মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে। এ বছর আমরা আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রেখে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায় চাল রফতানি করতে পেরেছি। বাংলাদেশে জৈবপ্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে সমৃদ্ধি সম্ভব।’ রবিবার বার্ক অডিটরিয়ামে আয়োজিত গ্লোবাল দৃষ্টিকোণে বায়োটেক ফসল এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচন তার অবদান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসার দাবিদার আমাদের দেশের কৃষক। আমরা প্রমাণ করেছি প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব এবং দেশপ্রেম থাকলে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও যে কোন সফলতা অর্জন করা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিজ্ঞানের ব্যাপারে অধিক সতর্ক। বিজ্ঞানের অনেক সুবিধা এ সরকার সবার হাতে তুলে দিয়েছে।’ বায়োটেক প্রযুক্তিকে সাধুবাদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বায়োটেকের ফলে পেস্টিসাইট ইনপুট গত বছর ১৬৮ কোটি টাকা কম হয়েছে।’ তিনি এ প্রযুক্তিকে বাংলাদেশের সব জনসাধারণকে সাদরে গ্রহণ করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি যারা এর বিরোধিতা করছে তাদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আইসার প্রতিষ্ঠাতা এ্যামিরিটাস সভাপতি ড. ক্লাইভ জেমস। তিনি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে বায়োটেক প্রযুক্তির বর্তমান অবস্থা সবার সামনে তুলে ধরে বলেন, ‘পৃথিবীর মোট ২৮টি দেশের ১৮ মিলিয়ন গরিব কৃষক কর্তৃক ১৮১ দশমিক ৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে বায়োটেক ফসলের চাষ করা হয়।’ বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনের পর থেকে বাংলাদেশে বায়োটেক প্রযুক্তির প্রসারে সবার পাশাপাশি বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ দেন ড. ক্লাইভ জেমস।
×