ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের  উর্ধগতি অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা পাঁচ কার্যদিবসের মতো দেশের পুঁজিবাজারে সূচকে উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। সকালে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও কিছুক্ষণ পরই বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা ফিরে আসে। দিনশেষেও সেখানে একই প্রবণতা অব্যাহত ছিল। তবে সার্বিক সূচকের তুলনায় সেখানে বাকি দুইটি সূচক বেশি বেড়েছিল। মূলত বাছাই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি ছিল। অন্যদিকে নতুন তালিকাভুক্ত ইফাদ অটোসের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমেছে। একইভাবে সার্বিক বাজারের লেনদেনও দিনটিতে কিছুটা কমেছে। আগের দিনের চেয়ে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট লেনদেন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে শেষ বিকেলে ভাল মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের দর বাড়ার কারণে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক, সিমেন্ট, ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো চাহিদা ছিল বেশি। লেনদেন কিছুটা কমলেও রবিবারে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭০১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ১০২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২২১ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গত বৃহস্পতিবারে সেখানে মোট ২৬৮ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, গত এক মাস ধরে অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে অনেকে কম দরে শেয়ার কেনার সুযোগ নিচ্ছে। অনেকে আগের বেশি দরে কেনা শেয়ার পুনরায় কম দরে কিনে সমন্বয় করছেন। ফলে চাহিদা কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। রবিবারে ডিএসইর সেরা-২০ এ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ১০৪ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৭.১৯ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের। দিনভর এ কোম্পানির ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ৫৭৮টি শেয়ার ১৪ কোটি ১৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৬.৪২ শতাংশ। এছাড়া লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ১০ কোটি ৫৫ লাখ, গ্রামীণফোনের ৮ কোটি ৩৬ লাখ, এমজেএলবিডির ৭ কোটি ১২ লাখ, এসিআই লিমিটেডের ৫ কোটি ৫৯ লাখ, সামিট এলায়েন্স পোর্টের ৫ কোটি ৪৩ লাখ, এনবিএলের ৫ কোটি ১৪ লাখ, সিএ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ৫ কোটি ১৩ লাখ, আমরা টেকনোলজিসের ৫ কোটি ১১ লাখ ও অগ্নি সিস্টেমসের ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ৭ম আইসিবি, ফার কেমিক্যাল, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সিনো বাংলা, আরকে সিরামিক, রূপালী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, দেশবন্ধু, ইফাদ অটোস ও এসআলম ক্রিস্টাল। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : জিএসপি ফাইন্যান্স, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, আজিজ পাইপস, এ আইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, ফাস ফাইন্যান্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, জেমিনী সী ফুড, পূবালী ব্যাংক, নদার্ন ইন্স্যুরেন্স ও শাহজিবাজার পাওয়ার। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮৭২১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ৮১টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩১ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসেবে রবিবার সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইফাদ অটোস, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ফার ইস্ট নিটিং এ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, সাইফ পাওয়ার টেক, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও মবিল যমুনা বিডি।
×