ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে রাত হলেই নাশকতা, ঝুঁকিতে সরকারী স্থাপনা

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাজশাহীতে রাত হলেই  নাশকতা, ঝুঁকিতে  সরকারী স্থাপনা

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ সারাদিন চুপচাপ। তবে অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে নাশকতায় নেমে পড়ছে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির কর্মীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে দিনের আলোয় কোন নাশকতা কিংবা পিকেটিং না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সড়কে সড়কে নাশকতা চালাচ্ছে তারা। শিবিরের ‘অগ্নিটিম’ ককটেল বোম ও পেট্রোলবোমা নিয়ে একের পর এক নাশকতায় লিপ্ত হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে রাজশাহী অঞ্চলে যতগুলো নাশকতার ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলো ঘটেছে সন্ধ্যার পর রাতের অন্ধকারে। সন্ধ্যার পর অব্যাহত সন্ত্রাসের মুখে এখন রাত নামলেও সৃষ্টি হচ্ছে ভীতিকর পরিস্থিতির। সন্ধ্যার পর রাস্তাঘাটে কমে যাচ্ছে মানুষের উপস্থিতি। এদিকে রাত্রিকালীন সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় নাশকতাকারীরা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি ও আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য বোমাবাজি করছে বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে। বিশেষ করে রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়ে ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে এসব সরকারী স্থাপনা। সর্বশেষ শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাত অবধি রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বোমাবাজি করেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পুলিশ বলছে, সড়কে এখন কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলায় নাশকতাকারীরা জনমনে ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে পাবলিক প্লেসে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে রাস্তায় যানবাহনে সুযোগ পেলে বোমা হামলা চালানোর পাশাপাশি নাশকতাকারীরা বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা ও সরকার সমর্থিত রাজনৈতিক দলের অফিস, নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলার টার্গেট নিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনের প্রধান ফটকের সামনে ও সাহেববাজার মনিচত্বর এলাকায় দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ জন পথচারী আহত হয়েছেন। রাত ৯টার দিকে একই সময় দুটি স্থানে এ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাতেই আহতদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেনÑ নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মাহফুজা (৩২), বুলনপুর এলাকার নামজা (৩০) ও তার স্বামী রাজু কামাল (৩৫)। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখায়ের আলম জানান, নাশকতাকারীরা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে সর্বত্র অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে আছে। এছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পাবলিক প্লেস যেমন রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাজারের ব্যস্ততম জনবহুল এলাকা ও সরকারী গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় কঠোর পুলিশী নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
×