ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা পতন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে অবশেষে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়তে শুরু করেছে। গত দেড় মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর দর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় প্রবাসী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে গত সপ্তাহে চার কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে। শক্ত মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলো হারানো দর ফিরে পেতে শুরু করেছে। তবে লেনদেন শুরুর মাত্র একদিনে গত সপ্তাহে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের শীর্ষে চলে এসেছে। এছাড়া লভ্যাংশ ঘোষণার সময় ঘনিয়ে আসায় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ০.৮৩ শতাংশ বা ৪০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছিল ১.৫৪ শতাংশ বা ৭৩ পয়েন্ট। গত চার কার্যদিবস দর বাড়ার কারণে সার্বিক সূচকের পতন কিছুটা থেমেছে। সপ্তাহের শুরুতে রবিবারে ডিএসইর সার্বিক সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ৭২৪ পয়েন্ট। বৃহস্পতিবারে তা কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬৮৫ পয়েন্ট। শরিয়াহ সূচক সপ্তাহ শেষে ০.৪৯ শতাংশ বা ৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স সপ্তাহ শেষে ০.৮৩ শতাংশ বা ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৭৩৩ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে সার্বিক লেনদেন কমেছে ১.২৭ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৪ হাজার ৭১৩ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন কমেছিল ১৫.৭৯ শতাংশ বা ২০৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৫৫ টাকা। সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১ কোটি ৪১ লাখ ৮ হাজার ৬০৩ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের। আগের সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৫ কোটি ২২ লাখ ৫৩ হাজার ৩১৬ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছে ১.২৭ শতাংশ বা ২ কোটি ৭৬ লাখ ২০ হাজার ৯৪২ টাকা। আগের সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছিল ১৫.৭৯ শতাংশ বা ৪০ কোটি ৭০ লাখ ৬৬ হাজার ১৭১ টাকা। গত সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ২০ লাখ ৭১ হাজার ১১২টি। আগের সপ্তাহ জুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ১৮২টি। অর্থাৎ শেয়ারের হিসাবে লেনদেন কমেছে ৭.০৪ শতাংশ বা ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭০টি। সপ্তাহ জুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ২০৪টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির এবং লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৮ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৩৪৫ টাকা বা ০.০২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছিল ৪ হাজার ৩৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৬৭ টাকা বা ১.৩৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৮.৬৮ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.৭৭ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১২.৮৩ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪.৭১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭৬.০১ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫.১২ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১৪.৪৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৪.৪২ শতাংশ। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইফাদ অটোস, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, আমরা টেকনোলজিস, স্কয়ার ফার্মা, তিতাস গ্যাস, মবিল যমুনা বিডি, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ও অগ্নি সিস্টেম। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইনান্স লিমিটেড, এ সি আই ফর্মুলেশন, এআইবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বাটা স্যু, আইসিবি এএমসিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, লিব্রা ইনফিউশন, বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম, আইএফআইএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এমবিএল ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, জেমিনি সী ফুড, নর্দার্ন জুটস, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, সমতা লেদার, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, শ্যামপুর সুগার মিলস, মডার্ন ডায়িং ও সিএমসি কামাল।
×