ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

এই কলামে উপরোক্ত শিরোনামে আরও আটটি কিস্তি ছাপা হয়েছে। কিন্তু লেখাটি শেষ হয়নি। তবুও দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে গত সপ্তাহে আমরা দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। এই সপ্তাহে আমি সেই লেখাটির ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেও দেশের বিদ্যমান অবস্থায় কোন মন্তব্য না করে থাকতে পারছি না। আমার নিজের কাছে মনে হচ্ছে, যদি চলমান জঙ্গীবাদের বিরোধিতা না করি তবে নিজের বিবেকের কাছে পরাজিত হবো। যদি ওদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিরোধ গড়ে না তুলি তবে আমাদের একাত্তরের অর্জন হারিয়ে যাবে। যারা গত সপ্তাহে এই কলামটি পড়ছেন তারা জানেন যে, সেই লেখার বর্ণিত অবস্থার যে আপডেট তা পুরো দেশবাসীর জন্য এখনও শোক ও আতঙ্কের। আপনারা যখন এই লেখাটি পাঠ করছেন তখন ‘বিষ’ দলীয় জোটের ৭২ ঘণ্টার নতুন হরতাল চলছে। আমি যখন এই লেখাটি লিখছি তখন আমাদের ১৫ লাখ সন্তান তাদের জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি পরীক্ষার প্রথমটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে। পরেরটির আপডেট এখানে নেই। রোববারের পরীক্ষার খবরও আমি জানি না। অন্যদিকে সেদিনও ৪ জনকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। পরের দুদিনে আরও কতজনকে মারা হয়েছে তাও জানি না। হাসপাতালগুলোতে আগুনে পোড়া মানুষের আর্তনাদে পুরো বাংলার বাতাস ভারি হয়ে আছে। আমরা বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করেছি যে, এই ঘাতকরা আল কায়েদার চাইতেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। কারণ এই জানোয়াররা গর্ভবতী মা, কিশোরী মাইশা বা ৬ বছরের শিশুকে পোড়াতেও দ্বিধা করছে না। আমাদের মাইশা তো পাকিস্তানী মালালার মতো ভাগ্যবতী নয় যে, সে বেঁচে যাবে- বরং বাবার সঙ্গে তাকে জ্বলতে হয়েছে। ওরা বোকা হারামকে হার মানাচ্ছে। ১০০ জন সাধারণ মানুষকে বহনকারী বাসে পেট্রোলবোমা ছুড়তে তাদের আত্মা কাঁপে না। আইএস জঙ্গীরাও এতটা ভয়াবহ হয়নি। আইএস জঙ্গীরা মাত্র এক জর্দানী পালিটকে পুড়িয়ে মেরেছে-আর বাংলাদেশের এই ঘাতকরা প্রতিদিন অগণিত মানুষ পুড়িয়ে মারছে। দেশ-বিদেশের যারা এর সঙ্গে গণতন্ত্র, নির্বাচন, সংলাপ ইত্যাদির সম্পর্ক খুঁজছেন তারা চরিত্রগতভাবে উটপাখি। অন্য অর্থে ওরা এই ঘাতকদের সহযোগী ও প্রশ্রয়দাতা। বাংলাদেশকে তার অস্তিত্বের জন্য সকল শক্তি দিয়ে এই ঘাতকদের নির্মূল করতে হবে। যদি আমরা সেটি করতে না পারি তবে আমাদের সন্তানরা এই দেশে নিরাপদ নয়। আমার নিজের কাছে মনে হয় একাত্তরের লড়াইটার একটি বিশেষ সিঁড়িতে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমরা কোনভাবেই এখানে দাঁড়িয়ে পরাস্ত হতে পারি না। আসুন একাত্তরের ঐক্য নিয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। ॥ নয় ॥ এর আগে আমরা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার প্রথম কৌশলটি আলোচনা করেছিলাম। আজ দ্বিতীয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। কৌশল ২ : ডিজিটাল সরকার : রাষ্ট্র ও সমাজের ডিজিটাল রূপান্তরের আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সরকার নামক প্রতিষ্ঠানটি অত্যন্ত প্রাচীন। এর পরিচালনা পদ্ধতিও মান্ধাতার আমলের। আমরা এখন আধুনিক রাষ্ট্র নামক যে রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা বলি এবং জনগণের সেবক সরকার হিসেবে যে সরকারকে চিহ্নিত করি তার ব্যবস্থাপনা বস্তুত প্রাগৈতিহাসিক। এক সময়ে রাজরাজরারা সরকার চালাতেন। তবে সেই ব্যবস্থাকে আমাদের এই অঞ্চলে স্থলাভিষিক্ত করেছে ব্রিটিশদের সরকার ব্যবস্থা। সেটি আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে বহন করে আসছি। ব্রিটিশরা চলে যাবার এতদিন পরও সেই ব্যবস্থা প্রবল দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করছে। কথা ছিল সরকারটি অন্তত শিল্পযুগের উপযোগী হবে এবং তার দক্ষতাও সেই পর্যায়ের হবে। কিন্তু কৃষি যুগে থেকেই আমরা শিল্পযুগের সামন্ত ধারণার সরকার চালাতে শুরু করার ফলে মানসিকতাসহ সকল পর্যায়েই আমাদের সঙ্কট চরম পর্যায়ের। একদিকে সামন্ত মানসিকতা ও অন্যদিকে আমলাতান্ত্রিকতা সরকারকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। ’৪৭ সালে একবার ও ’৭১ সালে আরেকবার পতাকা বদলের পরও আমলাতন্ত্র কার্যত বদলায়নি। একটি স্বাধীন জাতির জন্য যে ধরনের প্রশাসন গড়ে ওঠা দরকার সেটিও গড়ে ওঠেনি। কাজ করার পদ্ধতি রয়ে গেছে আগের মতো। তবে আমার নিজের ধারণা সাম্প্রতিককালে প্রশাসনে যারা যোগ দিচ্ছেন তারা মানসিকতার দিক থেকে ডিজিটাল যুগের চেতনার অনেক কিছু ধারণ করেন। আমি এদের হাতে আমলাতন্ত্রের পরিবর্তন আশা করি। তবে কেবল মানুষ বদলালে তো হবে না, পদ্ধতিটাও বদলাতে হবে। বিগত ৬ বছরে সরকারের গায়ে পরিবর্তনের জন্য কিছুটা ডিজিটাল আচড় পড়েছে। সরকার তার নিজের কার্যক্রম ও জনগণকে সেবাদানের ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করেছে। সরকারের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের একটি ভাল সূচনাও হয়েছে। সরকার তার নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোকে যুক্ত করার জন্য একাধিক নেটওয়ার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর সঙ্গে সরকারী-বেসরকারীভাবে থ্রিজি চালুু হয়েছে। খুব দ্রুত এর সম্প্রসারণও হচ্ছে। কিন্তু সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা বা সচিবালয়ে সেই ঢেউ বলতে গেলে লাগেইনি। সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সিংহভাগই এখনও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে অক্ষম। প্রচলিত ফাইল পদ্ধতি ও কাগজের নোট শীটে লিখে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়াই এখনও প্রবলভাবে চলমান। সরকারের ফাইল ব্যবস্থাপনা চিত্রটি হতাশাব্যঞ্জক। সরকারের সচিবালয়ে গেলে মনে হয় না যে, এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সচিবালয়। এই সময়ে নানা চেষ্টা তদ্বির করেও ভূমি ব্যবস্থার ডিজিটাল রূপান্তরের কোন উদ্যোগ নেয়া যায়নি। অন্যদিকে আদালতের অবস্থাও নাজুক। ওখানে বিচারক থেকে শুরু করে আইনজীবী পর্যন্ত আদালতসংশ্লিষ্ট মানুষরা সনাতনী ধারার বাইরে পা রাখতে পারেননি। সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কযুক্ত সকল খাতেরই ব্যবস্থাপনা পুরনো ধাঁচের। ফলে জনগণের ভোগান্তি চরমে। সামনের চার বছরে এর আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এই সময়ে পুরো সরকারকে ডিজিটাল হতে হবে। এজন্য সরকারের প্রতিজ্ঞাটি হতে হবে অত্যন্ত সুদৃঢ়। প্রসঙ্গত আমি মনে করিয়ে দিতে পারি যে ডিজিটাল যুগে রাষ্ট্রীয় সীমানাবহুল রাষ্ট্রের ধারণা বদলাবে এবং রাষ্ট্রীয় সীমানাবিহীন বিশ্বব্যবস্থাকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। যা হোক আমরা ডিজিটাল সরকার গড়ে তোলার স্বল্পকালীন কিছু কৌশলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। ক. প্রথমত, সরকারী অফিসে কাগজের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বন্ধ করতে হবে। সরকারের সকল অফিস, দফতর, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় কাগজকে ডিজিটাল পদ্ধতি দিয়ে স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। এজন্য সরকার যেসব সেবা জনগণকে প্রদান করে তার সবই ডিজিটাল পদ্ধতিতে দিতে হবে। এখানেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকারী দফতরের বিদ্যমান ফাইলকে ডিজিটাল ডকুমেন্টে রূপান্তরিত করতে হবে। নতুন ডকুমেন্ট ডিজিটাল পদ্ধতিতে তৈরি করতে হবে এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতেই সংরক্ষণ ও বিতরণ করতে হবে। এইসব ডকুমেন্টের ডিজিটাল ব্যবহার এবং সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ডিজিটাল করতে হবে। সরকারের মন্ত্রীবর্গসহ এর রাজনৈতিক অংশকেও এজন্য দক্ষ হতে হবে। সংসদকে ডিজিটাল হতে হবে। সংসদ সদস্যদেরও হতে হবে ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহারে দক্ষ। বিচার বিভাগকে কোনভাবেই প্রচলিত রূপে রাখা যাবে না। মামলা মোকদ্দমার বিবরণসহ, বিচার কার্যক্রম পরিচালনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল হতে হবে। বিচারক ও আইনজীবীদেরকে ডিজিটাল ব্যবস্থা ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ, ভূমি ব্যবস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করতে হবে। খ. দ্বিতীয়ত, সরকারের সকল কর্মচারী-কর্মকর্তাকে ডিজিটাল যন্ত্র দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করতে জানতে হবে। এজন্য সকল কর্মচারী কর্মকর্তাকে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নতুন নিয়োগের সময় একটি বাধ্যতামূলক শর্ত থাকতে হবে যে, সরকার যেমন ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করবে সরকারে নিয়োগপ্রাপ্তদের সেই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারতে হবে। হতে পারে যে, প্রচলিত শিক্ষা-প্রশিক্ষণ থেকে এই যোগ্যতা কারও পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হবে না। এজন্য সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের শর্ত হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির সাধারণ জ্ঞানকে একটি শর্ত হিসেবে রেখে এদের সকলের জন্য নতুন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। গ. তৃতীয়ত, সকল সরকারী অফিসকে বাধ্যতামূলকভাবে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে হবে এবং সকল কর্মকা- অনলাইনে প্রকাশিত হতে হবে। সরকারের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকেও সর্বক্ষণিকভাবে নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে হবে। সরকার যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছে তার সঙ্গে ডাটা সেন্টার স্থাপন, ডাটা সেন্টারের ব্যাকআপ তৈরি বা আরও প্রাসঙ্গিক কাজগুলো করতে হবে। ঘ. চতুর্থত, সরকারের সকল সেবা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য জনগণের দোড়গোড়ায় সেবাকেন্দ্র থাকতে হবে। যদিও এরই মাঝে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে তথাপি সিটি কর্পোরেশন ও তার প্রতি ওয়ার্ডে, পৌরসভা ও তার প্রতি ওয়ার্ডে এবং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ডিজিটাল কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। দেশজুড়ে থাকতে হবে বিনামূল্যের ওয়াইফাই জোন। ঙ. পঞ্চমত, জনগণকে সরকারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রযুক্তি ব্যবহারকে সকল সুযোগ দিতে হবে। থ্রিজির প্রচলন এই বিষয়টিকে সহায়তা করলেও, এর ট্যারিফ এবং সহজলভ্যতার চ্যালেঞ্জটি মোকাবেলা করতে হবে। সারাদেশে বিনামূল্যের ওয়াইফাই ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে। চ. ষষ্ঠত, সরকারের সঙ্গে যুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আধা সরকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে ডিজিটাল করতে হবে। অর্থনীতি, শিল্প-কলকারখানা, মেধাসম্পদ, আইন-বিচার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সামরিক বাহিনীকে ডিজিটাল করতে হবে। মাত্র ছয়টি পয়েন্টে যত ছোট করে আমি কাজগুলোর কথা উল্লেখ করেছি তাতে মনে হতে পারে খুব সহজেই বোধহয় সব হয়ে যাবে। কিন্তু আমি মনে করি সরকার যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও সামনের পাঁচ বছরে একটি ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে হিমশিম খেতে হবে। আমি নিজে মনে করি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে সরকার তার নিজের প্রশাসনকে ডিজিটাল করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেনি। সরকারের জনবলের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারের অদক্ষতা ছাড়াও আছে দুর্নীতির প্রকোপ। ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হলে সরকারের দুর্নীতিবাজ আমলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ঠেকিয়ে দেয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ভূমি, বিচার, আইনশৃঙ্খলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে দুর্নীতির কোটারি আছে। এই খাতগুলোতে যদি কঠোরভাবে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়াস গ্রহণ না করা হয় তবে ডিজিটাল সরকারের ধারণাই ভেস্তে যাবে। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ: www.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×