ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা রিপোর্ট

পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ হুমকির মোকাবেলা করে যেতে হবে

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পাকিস্তানকে অভ্যন্তরীণ হুমকির মোকাবেলা  করে যেতে হবে

পাকিস্তানী সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্থানের অধিকাংশ জনবসতি থেকে জঙ্গীদের বিতাড়িত করতে সফল হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা কংগ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছে। কিন্তু সংস্থাটির এক রিপোর্টে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে যে, সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও জঙ্গীবাদী, গোষ্ঠীগত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকি অব্যাহতভাবে মোকাবেলা করতে হবে পাকিস্তানকে। উপরন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) তৎপরতা ও প্রচারের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন থাকতে হচ্ছে দেশটিকে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিনসেন্ট আর স্টুয়ার্ট তার প্রথম ঐ রিপোর্টে প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে আরও বলেছেন যে, উপজাতীয় ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে পাকিস্তানী বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এ বাহিনী গত গ্রীষ্মে কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকাগুলোতে এক সামরিক অভিযান চালায়। তিনি বলেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনী স্থল অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ জনবসতি এলাকা থেকে সরকার বিরোধী জঙ্গীদের উৎখাত করেছে এবং আমরা আশা করছি সামরিক বাহিনী ২০১৫-এ জঙ্গীদের অবশিষ্ট ঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ চালানোর লক্ষ্য অব্যাহত রাখবে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় পেশোয়ারে একটি শিশু বিদ্যালয়ে টিটিপির ২৬ ডিসেম্বরের হামলার পর টিটিপি নেতৃত্ব ও যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা জোরদার করাসহ রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সামরিক উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহী করে তোলে সেনাবাহিনীকে। রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও সামরিক বাহিনী। এ কর্মপরিকল্পনায় সামরিক আদালত গঠনের বিষয়টিও রয়েছে। জেনারেল স্টুয়ার্ট কংগ্রেস সদস্যদের অবহিত করেন যে, পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। এ রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়, ভারত সামরিক বাহিনীর তিন বিভাগেই আধুনিকায়নের উদ্যোগে ব্যাপৃত রয়েছে ব্যাপকভাবে। দেশটির লক্ষ তাদের সেকেলে অস্ত্রের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা এবং পাকিস্তান ও চীনের বিরুদ্ধে দেশটির নিজস্ব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক টানটান প্রথম থেকেই। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে বা সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হয় প্রায়ই। এ ধরনের সংঘর্ষে ২০০৩-এর পর সর্বাধিক সংখ্যক বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। বছরজুড়ে প্রায়ই অনানুষ্ঠানিক সংলাপ ট্র্যাকন্টু অনুষ্ঠিত হয় দু’ পক্ষের মধ্যে। কিন্তু দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি হয় খুব সামান্য। দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন ভারত। রিপোর্টে বলা হয়, ভারত ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও পরীক্ষার জন্য তার পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় প্রায়ই। দেশটি ২০১৪-এর ডিসেম্বরের শুরুতে সফলতার সঙ্গে পরীক্ষা চালিয়েছে অগ্নি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের। -খবর ডন
×