ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘দায় আমাদের নয়’

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

‘দায় আমাদের নয়’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে নারী-শিশুসহ মানুষ হত্যার কোন দায়-দায়িত্ব তাঁর বা তাঁদের নেই বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। তিনি এসব জ্বালাও পোড়াও রাজনীতির দায় পুরোপুরি আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। বেগম জিয়া বলেন, উদার রাজনীতির ধারা নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগ চ-নীতি অবলম্বন করেছে। তিনি মনে করেন, এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। এই কঠিন বাস্তবতার প্রতি তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিবৃতিতে বেগম জিয়া বলেন, পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, মানুষের জীবন নিয়ে অপরাজনীতি করি না। হত্যা ও লাশের রাজনীতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। এমন হীন ও নৃশংস অপরাজনীতি কখনও করবও না। এখন যারা ক্ষমতা অঁাঁকড়ে আছে তারাই অতীতে আন্দোলনের নামে যাত্রীবাসে গানপাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে ডজন ডজন মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। লগি-বৈঠার তা-বে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। একটার বদলে দশটা লাশ ফেলার প্রকাশ্য নির্দেশ দিয়েছে। অফিসগামী কর্মকর্তাদের প্রকাশ্য রাজপথে বিবস্ত্র করেছে। সমুদ্রবন্দর অচল করেছে। রেলস্টেশন পুড়িয়ে দিয়েছে। লাগাতার হরতালে এসএসসি পরীক্ষা ৩ মাস পর্যন্ত পেছাতে বাধ্য করেছে। পবিত্র রমজানে পর্যন্ত হরতাল করেছে। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দিয়েছে। ইয়াসমিন হত্যার প্রতিবাদের নামে দিনাজপুরে পুলিশ ব্যারাক জ্বালিয়ে দিয়েছে। তদানীন্তন বিডিআরের পানি সরবরাহের লাইন কেটে দিয়েছে। এখনকার নৃশংস ঘটনাবলীও তাদের অতীত কার্যকলাপের সঙ্গেই মিলে যায়। কাজেই দেশবাসী মনে করেন, আন্দোলন দমন ও বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ানোর উদ্দেশ্যে শাসক দলই সুপরিকল্পিতভাবে এসব সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি এ ধরনের নৃশংস অপরাজনীতি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ২০ দলীয় জোটের এ আন্দোলনকে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক উল্লেখ করে বলেন, সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আন্দোলন চলছে। বার বার বলে এসেছি এ আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই অগ্রসর হওয়ার নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে যাত্রীবাহী ও অন্যান্য যানবাহনে পেট্রোলবোমা মেরে ইতোমধ্যে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েক নাগরিকের জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই শোচনীয় মৃত্যুর পাশাপাশি বার্ন ইউনিটে ঝলসানো দেহ নিয়ে অনেকে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। নিরপরাধ মানুষের ওপর এই বীভৎস আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা হতাহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও সমবেদনা জানাই। এসব হীন ও নৃশংস হামলায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আগেও জানিয়েছি আজও পুনরাবৃত্তি করছি। অভীষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলমান আন্দোলন কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, একটি যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। কোন অনৈতিক চাপ বা ভীতির মুখে নত হব না। যে কোন পরিস্থিতি বা পরিণতির জন্য তৈরি আছি। বৃহস্পতিবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। খালেদা বলেন, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আন্দোলন ছাড়া দেশবাসীর সামনে আর কোন পথ খোলা রাখা হয়নি। তাই ক্ষমতার জন্য নয়, গণতন্ত্র, দেশবাসীর ভোটাধিকার ও হৃত মৌলিক মানবিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে, শান্তি, নিরাপত্তা, আইনের শাসন ও সুবিচার নিশ্চিত করতে এ আন্দোলন অভীষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত চলতে থাকবে। আন্দোলনে শরিক হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বলেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় নিরপরাধ মানুষকে নৃশংস পন্থায় হত্যা করে তার দায়ভার চাপিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার-মাধ্যমে অপপ্রচার এবং বিরোধী দলকে সেই সুযোগে দমন করার অপরাজনীতি ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন, গত একটি বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্রমাগত আহ্বান জানিয়েছি। তারা কোন কিছুতে কর্ণপাত করেনি। বরং সীমাহীন অত্যাচার-উৎপীড়ন চালিয়ে গেছে। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা টিকিয়ে রাখার হীন অভিপ্রায়ে তারা কোন রকম সমঝোতায় রাজি হয়নি। এমনকি নির্বাচনী প্রহসনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার কারণে সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটের কথা স্বীকার করতেও রাজি নয়। তারা মনে করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের পথেই জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে দমিয়ে দেয়া সম্ভব। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি আমার কণিষ্ঠ পুত্রের আকস্মিক অকাল মৃত্যুতে আমি মানসিকভাবে এক চরম শোকাবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। এই বিপর্যয়ের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই আমার সঙ্গে কী ধরনের নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে এবং হচ্ছে তা সকলেই দেখছেন। সুপরিকল্পিতভাবে সর্বমুখী চাপ ও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে তারা আমাকে জনগণ ও নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সচেষ্ট। কিন্তু সকলকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোন অনৈতিক চাপ বা ভীতির মুখে আমি নত হব না। যে কোন পরিস্থিতি বা পরিণতির জন্য আমি তৈরি আছি। বেগম জিয়া বিবৃতিতে আরও বলেন, আওয়ামী শাসকদের একদলীয় ধাঁচের স্বৈরশাসন কায়েমের অপতৎপরতার কারণে অতীতে দেশ জঙ্গীবাদের কবলে পড়েছিল। আমরা তা দমন করেছিলাম। আজ আবার তারা একই কায়দায় উদারনৈতিক রাজনীতির ধারাকে নিশ্চিহ্ন করতে যে চ-নীতি অবলম্বন করছে তাতে সেই একই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। এই কঠিন বাস্তবতার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশবাসীর আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনের ডাক দেয়া হয়েছে তা একটি যৌক্তিক পরিণতিতে না পৌঁছা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। দেশের সাধারণ মানুষ এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামে অবতীর্ণ নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট সয়ে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, গুলি করে আহত করা, অত্যাচার, নির্যাতন, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, পাইকারি গ্রেফতার, পুলিশী রিমান্ড, বাড়িতে হামলার মতো ভয়ঙ্কর ত্রাসের রাজত্বের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রবল বাধা ও অত্যাচারের মুখেও যখন যেখানেই সম্ভব হচ্ছে, মিছিল ও প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন তাঁরা। জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী বেষ্টিত সরকার জনগণের আন্দোলনে ভীত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এসব বাহিনীর নিয়ন্ত্রণভার দলবাজ ও বিতর্কিত কতিপয় কর্মকর্তার হাতে তুলে দিয়ে তাদের মাধ্যমে জনগণ ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলসমূহের ওপর চরম জুলুম-নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। গত ৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচী শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি, সাজানো বন্দুকযুদ্ধ ও নৃশংস অন্যান্য পন্থায় হত্যা করা হয়েছে। গুলি করে ও অন্যান্য পন্থায় আহত করা হযেছে শত শত নেতাকর্মীকে। আটকের পর নিখোঁজ রয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী। ১৭ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কয়েক লাখ। অনেকের বাড়ি-ঘরে গভীর রাতে হানা দিয়ে ভাংচুর, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি মহিলাসহ পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন ও হেনস্তা করা হচ্ছে। এভাবে সারাদেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। জনগণের ওপর এমন চরম জুলুম-অত্যাচারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে সরকারী নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আন্দোলনরত বিরোধী দল, জনগণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে একতরফা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সকলের মৌলিক-মানবিক সমস্ত অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন ছাড়া প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের স্বাভাবিক ও নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনাও অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। অফিস বন্ধ করে দেয়া, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করতে না দেয়া, এমনকি দলের পক্ষে কেউ বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান করলেই সেই নেতাকে আটক করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেনস্তা করা বর্তমানে নিয়মিত রীতিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে শাসক দলের সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা এমনকি মারণাস্ত্র নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় প্রকাশ্যে মহড়া দিয়ে বেড়াচ্ছে। দলের সিনিয়র নেতাদের ওপর গুলি করছে। তাদের গাড়ি, বাড়ি ও অফিসে বোমা হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবনবিনাশী এসব ঘৃণ্য হামলায় জনমনে গভীর সন্দেহ ও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। পরিপূর্ণ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রহরায় এবং জবরদস্তি করে শাসকগোষ্ঠী কিছু কিছু যানবাহন রাস্তায় নামাচ্ছে। সেসব যানবাহনে কেমন করে ঘাতক বোমার নৃশংস হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে তা এক জ্বলন্ত প্রশ্ন। হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে আজ পর্যন্ত কাউকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হয়নি। কোথাও কোথাও বোমা, গুলি, আগ্নেয়াস্ত্রসহ শাসক দলের চেলা-চামু-ারা পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে। অথচ ঘটনার পর পরই বিরোধী দল ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনরা একতরফা প্রচার শুরু করে দিচ্ছে। কোন তদন্ত ও তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আমিসহ বিরোধী দলের শীর্ষস্থানীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে পুলিশ মামলা দায়ের করছে। কারারুদ্ধ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও এসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে। আমাকে সহায়তাকারী অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এমনকি প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদকে পর্যন্ত বোমাবাজির মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, উপদেষ্টা ও দলের যুগ্ম-মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, একদলীয় বাকশালী স্বৈরশাসনের অবসানের পটভূমিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও অপহৃত অধিকারসমূহ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরাই স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ’৯০-এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পথে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। আজ আবারও গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছি। ন্যায়ের এ সংগ্রাম অবশ্যই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাবে। শিক্ষার্থীদের গণভবন ঘেরাওয়ের আহ্বান ছাত্রদলের ॥ এদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান এক বিবৃতিতে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের গণভবন ঘেরাওয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের যদি শিক্ষার্থীদের প্রতি ন্যূনতম মায়া থাকত তাহলে অনেক আগেই পদত্যাগ করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করত। তারা ক্ষমতার মোহে এতটাই আচ্ছন্ন যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য এখন তারা কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের হত্যার উৎসবে মেতে উঠেছে। এ কারণে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের উচিত গণভবন ঘেরাও করে অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করা। কোকোর ককুলখানি আজ ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কুলখানি হবে আজ শুক্রবার। এ উপলক্ষে বাদ জুমা সারাদেশে মসজিদে মসজিদে কুলখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে রেজিস্টার খাতা ॥ গুলশানে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কর্যালয়ে প্রবেশকারীদের পরিচয় লিপিবদ্ধ করতে কার্যালয়ের সামনে একটি রেজিস্টার খাতা খুলেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে এ খাতাটি খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
×