ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নকশা পরিবর্তনের অজুহাত ॥ ২ কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যয়

শুরুতেই বন্ধ শকুনী লেকের কাজ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শুরুতেই বন্ধ শকুনী লেকের কাজ

নিজস্ব সংবাদ দাতা মাদারীপুর ৪ ফ্রেব্রুয়ারি ॥ জেলার ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে শকুনী লেকের সৌন্দর্য বর্ধন কাজ ডিজাইন পরিবর্তনের অজুহাতে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সমন্বয়নহীনতার কারণে শুরুতেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রত্যাশিত উন্নয়ন কাজ। ঠিকাদারের অভিযোগ, কার্যাদেশ দেয়ার পর সম্পূর্ণ ডিজাইন না দেয়া এবং বারবার ডিজাইন পরিবর্তন করার কারণে থমকে গেছে জেলার একমাত্র বিনোদন স্পট শকুনী লেকের উন্নয়ন কাজ। সৌন্দর্যবর্ধন কাজের মধ্যে রয়েছে লেকের চারদিকের তীর সংরক্ষণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাড়ে শিশুপার্ক নির্মাণ, দর্শনার্থীদের বিশ্রাম বা বসার জন্য পশ্চিমপাড়ে শান্তিঘাট ও পূর্বপাড়ে ভাসমান ঘাট নির্মাণ, স্বাধীনতা অঙ্গন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, লাইটিং ব্যবস্থাসহ মাদারীপুর ঘড়ি নামে একটি টাওয়ারও থাকবে এ শকুনী লেক ঘিরে। মাদারীপুর পৌরসভা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। প্রথম পর্যায়ে ই-টেন্ডারের মাধ্যমে ১২ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদার এবং ২০১৪ সালের ১৮ মে মাদারীপুরের ৩ সংসদ সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও আফম বাহাউদ্দিন নাছিম কাজের উদ্বোধন করেন। শকুনী লেকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু করে বেশকিছু দূর এগোনোর পর হঠাৎ করে থমকে দাঁড়ায়। এ ব্যাপারে ঠিকাদার সৈয়দ আবুল বাশার বলেন, কাজ শুরু করলেও কাজের পুরো ডিজাইন দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ একটা ডিজাইন নিয়ে আসে সে অনুসারে কাজ করানো হয়। আমাদের সাইড বুকে তারা স্বাক্ষর করে। তিন মাস আগে তারা কোন ডিজাইন দিতে পারেনি বলে আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। লেকের পূর্বপাড়ে যে সেন্টারিং এবং রডের কাজ করা হয়েছে তা তারাই আমাদের পরামর্শ দিয়ে করিয়েছে। আমাদের সাইড বুকেও তারা লিখে দিয়েছে, সব কাজের শেষে আমরা যখন ঢালাই দেয়ার সব প্রস্তুতি নিয়েছি, ঠিক সেই মুহুর্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলীরা এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। আমরা কারণ জানতে চাইলে তারা ডিজাইন পরিবর্তনের কথা বলে। তাদের ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে আমাদের যে কাজ করা হয়েছে তাতে আমরা ক্ষতির মুখে পড়েছি। এছাড়াও আমরা পাইল পোতার জন্য ৪টি মেশিন এনেছিলাম দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন করার জন্য। সামনে বৃষ্টির মৌসুম যদি বৃষ্টি শুরু হয় তা‘হলে লেকের চারদিকে পাইল পোতার জন্য যে মাটি সরানো হয়েছে সে মাটি ভেঙে লেকের মধ্যে পড়ে যাবে এবং তাতে চারপাশের রাস্তা ভেঙে যাওয়ারও আশংকা রয়েছে। যদি এ অবস্থা হয় তা‘হলে পানি সেচ দিয়ে মাটি সরিয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য কয়েক লাখ টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি জনসাধারণের যাতায়াতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। মাদারীপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান,ডিজাইন পরিবর্তন নয় সংযোজন হয়েছে। কাজ বন্ধ নেই। মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ ডিজাইনের সামান্য পরিবর্তনের কথা স্বীকার করে জানান, এ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে।
×