‘হ্যাপি হরতাল’!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে ‘হ্যাপি হরতাল’ বলে অভিবাদন জানিয়েছেন পার্টনার ইন পপুলেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (পিপিডি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. জো টমাস। সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে ড. টমাস এমন করে অভিবাদন জানান বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস ফর এইডস ইন এশিয়া এ্যান্ড দ্য প্যাসিফিকের ১২তম সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি অবহিত করতে ওই সংবাদ সম্মেলন আহ্বানে করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিদেশীরা বাংলাদেশে এলে তাদের সংসদ ভবন, হাতিরঝিল ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পরামর্শ দেই। এখন হরতালের কথাও বলতে হয়। কারণ, বলা হচ্ছে হরতালের কথা; অথচ এর মধ্যে সব কার্যক্রমও চলছে। চলতি বছরের ২০Ñ২৩ নবেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইক্যাপের ১২তম সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এইচআইভির মতো মরণ ব্যাধিকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এটা নিঃসন্দেহে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক প্রতিজ্ঞা, যার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১২তম এ বাংলাদেশ আসরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন আয়োজনের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সেই দুই বছর আগে। একটি আন্তর্জাতিক বিডিং প্রসেসের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা করে ভারত ও ভিয়েতনামের মতো দেশকে টপকে বাংলাদেশকে এ সম্মেলন আয়োজনের সম্মান অর্জন করতে হয়েছে। মোহাম্মদ নাসিম জানান, তিন হাজার বিদেশী মেহমানকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এ সম্মেলনের সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার পাদপীঠ মহাখালীর পিপিডির আন্তর্জাতিক সদর দফতরে। এ সম্মেলনের নির্বাহী পর্ষদে দেশের এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় খ্যাতনামা শিক্ষক, গবেষক, বুদ্ধিজীবী এবং সমাজসেবীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সম্মেলনের সার্বিক মান বজায় রাখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট আরও ১১টি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছি। এ সম্মেলনে ৩ হাজার বিদেশী প্রতিনিধির পাশাপাশি পিপিডির ২৬টি সদস্য দেশের ২৬ জন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পার্টনারস ইন পপুলেশন এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টকে (পিপিডি) নিয়ে এ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এছাড়াও এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ইউএনএইডস, আইসিডিডিআরবি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, পিএলএইচআইভি নেটওয়ার্ক, এসটিআই নেটওয়ার্ক এবং বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। প্রতি দুই বছর পর পর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিভিন্ন দেশে এ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়ে থাকে।