ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অতিরিক্ত ৩৮ হাজার টন খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

অতিরিক্ত ৩৮ হাজার টন খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ সেচ ববস্থাপর উন্নয়নের মাধ্যমে বছরে অতিরিক্ত প্রায় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করে এ শস্য উৎপাদন বাড়ানো হবে। এজন্য ১২৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ মঙ্গলবার প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। রাজধানীর শেরবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পটি রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আটটি উপজেলায় (গোদাগাড়ী, পুটিয়া, চারঘাট, নাচোল, গোমস্তাপুর, দামুরহাট, পতœীতলা এবং মহাদেবপুর) বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছিল। বরেন্দ্র এলাকার এ তিন জেলার আবহাওয়া অত্যন্ত শুষ্ক, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেশি, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে তাই ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ কম। প্রকল্প এলাকার মাত্র ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ জমি ভূ-গর্ভস্থ পানি দ্বারা সেচ সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট জমির সেচ কাজ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। বর্ষা মৌসুমে যখন বৃষ্টি কম হয় বা গ্রীষ্মকালে যখন খরা দীর্ঘায়িত হয়, তখন সেচের অভাবে এ এলাকায় আমনের চারা রোপণ করা যায় না। এতে হেক্টর প্রতি ধানের উৎপাদন কম হয় এবং গমসহ অন্যান্য রবিশস্য চাষেও বিঘœ ঘটে। তাই সম্পূরক সেচ প্রদানের মাধ্যমে ওই এলাকার ফলন বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য শফিকুল আযম পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিগতে গিয়ে জানান, প্রকল্পটি গ্রহণের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। ফলে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ওপর চাপ কমবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় ধান, গম ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। যা খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনসহ দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সোনালী ব্যাংকে চালু হলো ভিসা ডেবিট কার্ড অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড তার এক কোটি গ্রাহককে আধুনিক সেবা দেবার লক্ষ্যে চালু করেছে ভিসা ডেবিট কার্ড। এই কার্ডধারীগণ দেশব্যাপী ৫ হাজারেরও অধিক এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা এবং বাইশ হাজার চঙঝ থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। সরকারী মালিকানাধীন দেশের সর্ববৃহৎ সোনালী ব্যাংক-এর ১২০০’র অধিক শাখার মাধ্যমে গ্রাহকগণকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত সেবা নিশ্চিত করার নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভিসা ডেবিট কার্ড ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্ককে আরও নিবিড় করবে। সোনালী ভিসা ডেবিট কার্ড গ্রাহককে নগদ টাকা বহনের ঝুঁকি থেকে মুক্ত করবে, পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা টাকা উত্তোলনের সুযোগ থাকবে। সরাসরি তাৎক্ষণিক হিসাব ডেবিট হওয়ার কারণে গ্রাহক তার হিসাবের স্থিতি জানতে পারবেন, পাবেন মিনি স্টেটমেন্ট। লেনদেনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ‘ভিসা নেট’-এর মাধ্যমে। তাই গ্রাহকের হিসাবের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সোনালী ব্যাংক ভিসা ডেবিট কার্ডধারীগণ ভিসার প্রচলিত সকল সেবা ও বোনাস পাবেন।
×