ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিথুন হত্যাকাণ্ড খুনী শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বিথুন হত্যাকাণ্ড খুনী শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর রামপুরায় দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আখতার-উল আলমের মেয়ে ফাহমিদা আখতার বিথুন খুনের কূল-কিনারা হয়নি। হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে বিথুনের ফ্ল্যাটে কর্মরত গৃহকর্মী ও ওই বাড়ির এক নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন। সংগৃহীত আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খুনীকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব, আর্থিক লেনদেন বা পূর্ব শত্রুতার জেরসহ নানা বিষয় সামনে রেখে এ খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে রাজধানীর রামপুরা থানার পশ্চিম রামপুরার মহানগর প্রজেক্টের ৫ নম্বর সড়কের ১০৫ নম্বর পাঁচতলা বাড়ির ডি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা, চোখ-মুখে মরিচের গুঁড়া ছিটানো, গলায় ওড়না ও চাদর দিয়ে পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিথুনকে (৪৭) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তার স্বামী গোলাম রাব্বানী বাইরাইনে কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। নিহতের একমাত্র ছেলে সিরাতুন সোস্তাকিম (২০) আমেরিকায় লেখাপড়া করছে। বিথুন একাই ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। এদিকে বিথুন খুনের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই তার ভাই রিজওয়ান-উল আলম (৪৯) বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বোনের সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে শেষ কথা হয়। বিথুনের বাড়িতে সাবিয়া বেগম (৪৫) গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী আব্দুর রহমান। বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার ডুমুরিয়া গ্রামে। গত ২৮ জানুয়ারি সাবিয়া রাত সাড়ে দশটার দিকে চিনি কিনে এনে দেয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাজের উদ্দেশে বিথুনের ফ্ল্যাটে যান সাবিয়া। দরজা ধাক্কা দিলে খুলে যায়। তিনি দেখেন বিছানায় বিথুনের লাশ পড়ে আছে। পরে বাড়ির লোকজন ও দারোয়ান মারফত খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে মর্গে পাঠায়। মামলার বাদী জনকণ্ঠকে জানান, হত্যাকা-ের বিষয়ে তারা কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন না। এজন্য মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি। তবে পুলিশ বিথুনের ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী ও বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর ভূঁইয়া জনকণ্ঠকে জানান, বিথুন হত্যাকাণ্ডের এক গৃহকর্মী ও বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে হত্যাকা- সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।
×