ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ-আফগানিস্তানকে হারাতে চায় স্কটিসরা

স্কটল্যান্ডের লক্ষ্য একটি জয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫

স্কটল্যান্ডের লক্ষ্য একটি জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে স্কটল্যান্ড। ১৯৯৯ সালে প্রথমবার ও ২০০৭ সালে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলেছে দলটি। দু’বারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সব ম্যাচ হেরে। তবে এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ মঞ্চে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে যাচ্ছে স্কটিশরা। সমশক্তির আফগানিস্তান ছাড়া বাকি পাঁচটি টেস্ট খেলুড়ে দল- বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা তাদের চেয়ে শক্তিশালী। আফগানদের বিরুদ্ধে তো অবশ্যই, পাশাপাশি বাংলাদেশকেও হারিয়ে দেয়ার স্বপ্ন এবার স্কটিশ ক্রিকেটারদের। বিশ্বকাপ আয়োজক অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে নিজ দেশের সামঞ্জস্য থাকায় এর সঙ্গে পরিচয় আছে। কিন্তু এশিয়ার তিন দেশকে মোকাবেলা করতে তাদের কন্ডিশনের সঙ্গেও পরিচিতিটা বাড়াতে আরব আমিরাতে কন্ডিশনিং ক্যাম্পও করেছে দলটি। এবার বিশ্বকাপ মঞ্চে নামার পালা। সার্বিকভাবে দারুণ প্রস্তুতির পর তাই স্কটিশ অধিনায়ক প্রেস্টন মোমসেন বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে আশাবাদী। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণেই আরেক বিশ্বকাপ মঞ্চে প্রথম আবির্ভাব ঘটা বাংলাদেশকে একই গ্রুপে পেয়েছিল স্কটল্যান্ড। একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ দলকে হারানোর। সেটাও বাস্তব হয়নি মাত্র ২২ রানে হেরে। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি স্কটল্যান্ড। তবে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৮ ম্যাচ খেলে তিনটি জয় আছে। এবার বিশ্বকাপে অবশ্য নিজ দেশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ পরিবেশ পাবে তারা। সেখানে আফগান কিংবা বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে নামার আগেই কঠিন পরীক্ষাগুলোয় অবতীর্ণ হতে হবে স্কটিশদের। ১৭ ফেব্রুয়ারি সহআয়োজক নিউজিল্যান্ড এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী দেশ ইংল্যান্ডকে মোকাবেলা করার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি কাক্সিক্ষত প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। ৫ মার্চ আরেক জয়ের আশা পূর্ণ হওয়ার ম্যাচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে স্কটিশ অধিনায়ক মোমসেন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জেতা। উচ্চাশা আর প্রত্যাশায় থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া আমাদের দল। প্রথমত এবং সার্বিকভাবে আমরা অন্তত একটি জয় চাই। কিন্তু আমি শপথ করে বলছি আমরা একটির বেশি জয় পেতে উন্মুখ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচটি কঠিন চ্যালেঞ্জের। তবে এডিনবার্গের প্রতিচ্ছবি হিসেবে বিবেচিত শহর ডানেডিনে খেলাটা অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে আমরা অনেক বেশি সমর্থন ও সহায়ক পরিবেশ পাব সেখানে।’ বিশ্¦কাপের আগে বড় কোন দলের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পায়নি স্কটল্যান্ড। তবে আইসিসির অন্য সহযোগী সদস্য দেশের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছে স্কটিশরা। তাছাড়া বিশ্বকাপে এশিয়ার তিন দেশ আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা থাকার কারণে তারা যেমন পরিবেশে খেলে অভ্যস্ত অনুশীলনটা তেমন পরিবেশেই করেছে তারা। আরব আমিরাতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প করেছে স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপে এবার এ প্রস্তুতির ছাপটা দেখানো বাকি। এ বিষয়ে মোমসেন বলেন, ‘আমি জানি ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই করার সামর্থ্য আছে। অন্য সহযোগী সদস্য দেশের সঙ্গে বেশি বেশি খেলাটা আমার মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ এক প্রস্তুতি হয়েছে আমাদের জন্য। সবচেয়ে বড় কথা ম্যাচ খেলার জন্য যে ছন্দটা দরকার সেটা পেয়ে গেছি।’ আর এসব প্রস্তুতি নিয়েই এবার স্কটিশদের মূল লক্ষ্য সহযোগী সদস্য দেশ আফগানিস্তানকে হারানোর। আর দ্বিতীয় টার্গেট বাংলাদেশ!
×