ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চলমান আন্দোলনের মুখে মেয়র, প্যানেল মেয়র ও বেশিরভাগ কাউন্সিলর আত্মগোপনে থাকায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে। থমকে গেছে সব ধরনের নগর উন্নয়ন কাজ। কর্মচারীরা ডিসেম্বর মাসের বেতন এখনও পাননি। পেট্রোলবোমা হামলা মামলার আসামি হওয়ায় মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বেশ কিছুদিন থেকে প্রকাশ্যে সিটি কর্পোরেশনে বসতে পারছেন না। তার মোবাইলও বন্ধ। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। কাজকর্ম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। জানা গেছে, বর্তমান মেয়র দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন কোন প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বরং নগরীর শালবাগান মার্কেট, নওদাপাড়া মার্কেট, ভদ্রা মার্কেট, লক্ষ্মীপুর ক্লিনিক, বর্ণালী সিনেমা হলের পেছনের ট্রেনিং সেন্টার, আরডিএ মার্কেটের পাশে দোকানঘর নির্মাণকাজগুলো দরপত্র হওয়ার পরও বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া সিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। উন্নয়ন কর্মকা- থেমে থাকার পাশাপাশি বর্তমানে রাজস্ব আদায়েও গতি কমে গেছে। রাজস্ব আয় থেকেই কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়। কর্মচারীরা জানান, গত মেয়রের সময়ে মাসের শুরুর দিকেই তারা বেতন পেয়েছেন। এখন আর সেটা হচ্ছে না। জানা গেছে, বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনে নিয়মিত ৪৮২ জন ও মাস্টাররোলের ২ হাজার ১৬৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। নিয়মিতদের ডিসেম্বর মাসের বেতন দেয়া হয়েছে জানুয়ারির ১০ থেকে ১২ তারিখের দিকে। আর মাস্টাররোলের কর্মচারীদের বেতন এখনও পরিশোধ হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুর রশীদ জানান, এখনও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়নি। কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, মেয়র হচ্ছেন কর্পোরেশনের অভিভাবক। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তাকে মামলা-মোকদ্দমা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। হাজত খাটতে হচ্ছে। এতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের মধ্যে কোণ প্রাণচাঞ্চল্য নেই। এছাড়া রাসিকের বিএনপি পন্থী কাউন্সিলররাও পলাতক রয়েছেন। সর্বশেষ প্যানেল মেয়র গ্রেফতার হয়ে হাজতে। বৃহস্পতিবার সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে দেখা যায়, সবার মধ্যে একটা গা-ছাড়া ভাব। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, সিটি কর্পোরেশন চলছে, তবে তারা একটা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, মেয়র না থাকলে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয় না। আরেক সপ্তাহ তাকে বাইরে থাকতে হলে সিটি কর্পোরেশনে অচলাবস্থা দেখা দেবে। জানা যায়, বর্তমানে মেয়রের নামে ১৬টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি মেয়র হওয়ার পর এক মাস হাজত খেটেছেন। বন্দুকযুদ্ধে নিহত জিসানের লাশ কবর থেকে তুলে লক্ষ্মীপুরে দাফন নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা/লক্ষ্মীপুর, ২৯ জানুয়ারি ॥ কুমিল্লায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসানের লাশ ঘটনার সাতদিন পর কুমিল্লা মহানগরীর টিক্কারচরের কবর থেকে উত্তোলন করে লক্ষ্মীপুরে দাফন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের পর তার মা ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তার লাশ এ্যাম্বুলেন্সে করে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পুটিয়া নামক এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় লক্ষ্মীপুরের জিসান বাহিনীর প্রধান শীর্ষ সন্ত্রাসী সোলাইমান উদ্দিন জিসান। পরে র‌্যাব তার লাশ দাউদকান্দি থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করলে পরদিন পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য কুমিল্লার আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করলে ওইদিন নগরীর টিক্কারচর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে নিহত জিসানের মা ফাতেমা বেগম তার ছেলের লাশ বেওয়ারিশ নয় উল্লেখ করে টিক্কারচর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করে তার নিজ বাড়ি লক্ষ্মীপুরের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের অনুমতি চেয়ে গত ২৭ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাসরিন জাহানের আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলাম হতে লাশ উত্তোলন করে তার মায়ের নিকট হস্তান্তর করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
×