ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩০ জানুয়ারি ২০১৫

ঝলক

মশা দিয়েই মশা নিধন ব্যাপারটা অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতোই। বলছি, মশা দিয়ে মশা নিধনের কথা। এমনই দাবি করেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক। তাঁদের দাবি, মশার কিছু জিনগত পরিবর্তন তারা ঘটিয়েছেন। পরিবর্তিত জিনের মশাগুলো মানুষকে কামড়ালে তারা রোগাক্রান্ত হবেন না। উপরন্তু ঐ মশার সঙ্গে সাধারণ মশার যৌনসংযোগ ঘটার পর সৃষ্ট নতুন লার্ভা ওড়ার আগেই মারা পড়বে। ফলে মশার বংশবিস্তার ব্যাহত হবে চরমভাবে। আর তখন সহজেই এড়ানো যাবে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ জটিল দুরারোগ্য ও যন্ত্রণাদায়ক মশাঘটিত রোগব্যাধি। বিয়ের পিঁড়িতে ছেষট্টিবার ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে বসবাসকারী দম্পতি লিসা গ্যান্ট ও এ্যালেক্স পেলিং এক আশ্চর্য জুটি। তাঁরা এ পর্যন্ত ৬৬বার বিয়ে করেছেন এবং ৬৭তম বিয়ের আসরে বসতে যাচ্ছেন শীঘ্রই। এতবার বিয়ে করার কারণ কী? মূলত, তারা বিয়েটা করতে চাইছেন একটি পছন্দমতো স্থানে, পছন্দনীয় রীতিতে। কিন্তু কিছুতেই তা হয়ে উঠছে না। এ নিয়ে নিরীক্ষা করতে করতেই জীবন ও সময় কেটে যাচ্ছে। উভয়েই যার যার কাজ থেকে অবসর নিয়েছেন পছন্দনীয় স্থানে, পছন্দনীয় রীতিতে বিয়ে করার জন্য। যেদিন কোন স্থান, কোন রীতি তাঁদের সত্যিকার অর্থেই পছন্দ হবে সেদিনই তাঁরা এই বিবাহ অভিযান বন্ধ করবেন। বিচিত্র এই দম্পতি এ যাবত বিয়ে করেছেন ইংল্যান্ডে তো বটেই, সেই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হাওয়াই, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, এলসালভাদর, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, পর্তুগাল, ফ্রান্স, রোমানিয়া, সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানসহ বহু দেশে। ধ্যানমগ্ন ২০০ বছর! নির্বাণ লাভের জন্য কোন এককালে মঙ্গোলিয়ার তুষার ঢাকা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন হয়েছিলেন এক সন্ন্যাসী। এর পর কেটে গেছে ২০০ বছর। সুদীর্ঘ এ সময় আলতাই পর্বতমালায় নিয়ম করে হয়েছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত। সেলেঙ্গা নদীতে ভেসে গেছে কত জল। এরই মধ্যে বেরিয়ে গেছে প্রাণবায়ু। তবু ভাঙ্গেনি সেই সন্ন্যাসীর ধ্যান! সম্প্রতি মঙ্গোলিয়ার পার্বত্য অঞ্চল থেকে ১৮০০ সালের দিকে পদ্মাসনে ধ্যানমগ্ন ওই সন্ন্যাসীর মমি করা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি মঙ্গোলিয়ার সঙ্গিনোখায়েরখান প্রদেশে পাহাড় খননের সময় পশুর চামড়ায় মোড়ানো মমিটি উদ্ধার করা হয়। এখন এ সম্পর্কে আরও তথ্য উদ্ঘাটনের জন্য মমিটি মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গবেষণা শেষে মমিটি পর্যটকদের জন্য স্থানীয় ওয়াটকুনারাম মন্দিরে রাখা হবে। ক্রিকেটারদের হোটেলে ভূত! মাঝরাতে ভূতের উপদ্রবে ঘুম হারাম হয়েছে পাকিস্তানী ক্রিকেটার হারিস সোহেলের! ঘটনায় সোহেল এমনই ভয় পান যে, রীতিমতো জ্বর চলে আসে তাঁর। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন নিউজিল্যান্ডে। সেখানেই ঘটে এ বিপত্তি। ঘটনাটি সোহেলের ওপর এতই ভীতিকর প্রভাব ফেলে যে, তাঁকে নিউজিল্যান্ড প্রেসিডেন্টস একাদশের বিপক্ষে দলে রাখা যায়নি। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? সোহেলের ভাষ্য, রিজেস ল্যাটিমার হোটেলে আমার জন্য নির্ধারিত ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। মাঝরাতে হঠাৎই অনুভব করি, কে যেন খাট ধরে ঝাঁকাচ্ছে। ধড়মড় করে উঠে বসি। ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসার পরও মনে হয় খাটটি নড়ে উঠছে। এরপর দলের কয়েক সতীর্থকে ফোন করি। ফিজিও এবং চিকিৎসক ছুটে আসেন। চিকিৎসকের মতে, জ্বরের কারণে দুঃস্বপ্ন দেখে চমকে ওঠেন সোহেল। তবে সোহেল তা মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, তিনি ঘরের মধ্যে অতিপ্রাকৃত কিছু একটার অস্তিত্ব টের পেয়েছেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভূতের মোলাকাত এই প্রথম নয়। এর আগে ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রড এবং অস্ট্রেলিয়ার শ্যেন ওয়াটসন হোটেলের রুমে ভূতের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন। ব্রড জানিয়েছিলেন, ইংল্যান্ডের ল্যাংহ্যাম হোটেলে থাকাকালীন মাঝরাতে তাঁর বাথরুমের পানির কল আপনা আপনি চালু হচ্ছিল। কিন্তু লাইট জ্বালালেই সঙ্গে সঙ্গে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
×