ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদাকে শাজাহান খান

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ২৪ জানুয়ারি ২০১৫

খালেদাকে শাজাহান খান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা, গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও কোন কর্মসূচী হতে পারে না। অবরোধের নামে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির বিরুদ্ধে জনগণ রাস্তায় নেমে এসেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির অবরোধের নামে মানুষ হত্যা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, অবরোধ প্রত্যাহার করুন, নতুবা বাংলার মানুষ আপনাকে অবরোধ করে রাখবে। তিনি শ্রমজীবী মানুষসহ দেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম আগে কখনও ঘটেনি। যারা এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং যারা নির্দেশ দেয় তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, আমরা দেশকে রাজাকার এবং পাকিস্তানী ভাবধারায় জঙ্গীবাদে বিশ্বাসীদের হাতে তুলে দিতে পারি না। মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা ১৯৭১ সালের মতো ঘুমন্ত মানুষের ওপর আক্রমণ করছে, তারা নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশ পরিচালিত হবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব তাদের হাতে রক্ষা পাবে না। ২০ দলীয় জোটের অবরোধের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাজসহ দেশবাসীকে রক্ষা করতে বিভিন্ন কর্মসূচীর দাবির প্রেক্ষিতে এবং ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০ জানুয়ারি শ্রমিক-কর্মচারী পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়। নৌপরিবহনমন্ত্রী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক। সমন্বয় পরিষদ ২৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন শ্রেণীর শ্রমিক কর্মচারী ও পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে সংহতি সমাবেশ এবং ৩০ জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা আড়াইটায় মহাসমাবেশ করবে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস, সড়ক, নৌ ও রেল পরিবহন, জুট, টেক্সটাইল, নৌ-পরিবহন, ইমারত, ট্যানারি, যুব উন্নয়ন, বাস্তুহারা, গৃহ শ্রমিক, বিদ্যুত, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিরিন আক্তার, মালেক মিয়া, জেড এম কামরুল আনাম, বদরুদ্দোজা নিজাম, মোখলেসুর রহমান, লিমা ফেরদৌস, রফিকুল ইসলাম রাজা, কাদের দেওয়ান, সিরাজুল ইসলাম রনি প্রমুখ। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
×