ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় কলেজ থিয়েটারের ‘কীত্তনখোলা’ মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

বগুড়ায় কলেজ থিয়েটারের ‘কীত্তনখোলা’ মঞ্চস্থ

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সপ্তম প্রয়াণ দিবস ছিল ১৪ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে বগুড়ায় সেলিম আল দীন পাঠশালার উদ্যোগে বগুড়া থিয়েটার ও কলেজ থিয়েটারের সহযোগিতায় প্রয়াত এই নাট্য ব্যক্তিত্বের স্মরণে তিন দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্মরণানুষ্ঠানের সমাপনী দিন শুক্রবার উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তন মঞ্চে কলেজ থিয়েটার প্রযোজিত ‘কীত্তনখোলা’ নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। সেলিম আল দীন রচিত ‘কীত্তনখোলা’ নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন দেশের স্বনামধন্য নাট্যজন, বগুড়া থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না। নাটকটির মঞ্চায়নের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান হয় নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনকে। এছাড়া সম্প্রতি প্রয়াত বগুড়া থিয়েটারের কর্মী, নাট্যজন খন্দকার গোলাম কাদেরকে নাটকটি উৎসর্গ করা হয়। ওই দিন ‘কীত্তনখোলা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন কবির রহমান, মোস্তফা জিয়ন, জিনিয়া ফারজানা, অলক পাল, দুলাল দেবনাথ, বিধান কৃষ্ণ রায়, রেহেনা আমিন, মিতৌসি, তপন পাটোয়ারি, আমজাদ শোভন, শোভন চন্দ্র, হামিদ, সবুজ, মিল্লাত, বাপ্পি, সোমা, সিজুল, নাবিল, সাজু, রাহুল, ফিরজুল, তন্ময় প্রমুখ। নাটকটির আলোক ভাবনা এবং আলোক প্রয়োগে ছিলেন দ্বীন মোহাম্মদ দীনু। নাটকে সেট নির্মাণ করেছেন জুলফিকার হুসাইন সোহাগ। নেপথ্যে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নজরুল ইসলাম ও অভি ঘোষ। নাট্যকার সেলিম আল দীন স্থানীয় কিত্তনখোলা মেলাকে কেন্দ্র করে নাটকের কাহিনীর ভাষ্য রচনা করেছেন। নাটকের কাহিনীতে মেলায় আসা যাত্রা দলের অভ্যন্তরীণ প্রেম, ভালবাসা, বিরহ যেমন তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি এ নাটকে আছে মানুষের বিভিন্ন পর্যায়ে রূপান্তরের গল্প। তবে নাটকে কোন একটি বিষয় সুনির্দিষ্ট না এগুলেও নাটকের শিল্পরস এবং সত্য ও বাস্তবতাকে দর্শক ঠিকই অনুধাবন করতে পারেন খুব সহজেই। কারণ নাটকে ভিন্ন আঙ্গিকে সমাজের অনুপম শাশ্বত সত্য আমাদের ঐতিহ্যবাহী নিজস্ব নাট্য ছন্দ রচিত হয় নাট্য মঞ্চে। নাটকে ব্যবহৃত সংলাপগুলো যেন এক একটি জীবন দর্শন। বিশেষ করে নাটকের চরিত্র ছায়া, সোনাই কিংবা বনশ্রির কষ্ট যন্ত্রণা দর্শকরা অনুভব করেন আপন সত্তায়। তেমনি ইদু কনট্রাকটরের মতো মানুষের জন্য দর্শকদের মধ্যে এক ধরনের ক্রোধ জেগে ওঠে। মঞ্চায়নের সময় নাটকের দ্যোতনা ছড়িয়ে পড়ে মিলনায়তনে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে। আর এর মাধ্যমেই নিহিত শিল্পের স্বার্থকতা।
×