ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লেনদেন বাড়লেও সূচক ও শেয়ারের দর কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

লেনদেন বাড়লেও সূচক ও শেয়ারের দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস মূল্যসূচক বেড়েছে। বাকি দুই কার্যদিবস সূচক তুলনামূলক বেশি কমেছে। ফলে সপ্তাহ শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের সপ্তাহের চেয়ে লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও মূল্যসূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। এ সময় ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স এবং ডিএসই শরিয়াহ ও ডিএসই-৩০ সূচক সবগুলোই কমেছে। একই অবস্থা অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (হিএসই)। এ সময় বাজারটির প্রধান সূচক কমেছে ০ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একই সময়ে সিএসইতে বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স ছিল ৪ হাজার ৯৬৮.৭১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৯৫৬.০৯ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক (ডিএসইএক্স) কমেছে ০ দশমিক ২৫ শতাংশ। এছাড়া আগের সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইএস সূচক ০ দশমিক ৬২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ১৭৪.৩৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৩৯ পয়েন্টে স্থির হয়। অপরদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন বেড়েছে ৬৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট এক হাজার ৮৫২ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার ৩৫৮ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১১৬ কোটি ১৬ লাখ ১২ হাজার ৪৩২ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইর ৩১৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৬৮টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দাম। লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠাগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল ১৪৩টির, কমেছিল ১৪২টির ও অপরিবর্তিত ছিল ২৮টির দাম। আর লেনদেন হয়নি ৪টি প্রতিষ্ঠানের। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেনও বেড়েছে। গেল সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৩৭০ কোটি ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ২৭২ টাকা। এর আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন ছিল ২৭৯ কোটি ৪০ লাখ ০৩ হাজার ১০৮ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন বেড়েছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা ডায়িং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড, সায়হাম কটন মিলস, মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিং মিলস, মেট্রো স্পিনিং, এমারেল্ড অয়েল, এনভয় টেক্সটাইলস, ফার্মা এইডস ও ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস। অন্যদিকে সপ্তাহ শেষে দরপতনের দিক দিয়ে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- কাশেম ড্রাইসেলস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, বিডি থাই এ্যালুমিনিয়াম, জিলবাংলা সুগার মিলস, তৃতীয় আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, চতুর্থ আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আজিজ পাইপস ও দেশ গার্মেন্টস। অন্যদিকে সিএসইতে আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ কোটি ২৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা বা ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ ৯২ হাজার ১২ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৩১ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। লেনদেন বাড়লেও কমেছে সব ধরনের সূচক। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই কমেছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ। সিএসই৩০ সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। অপরদিকে শরিয়াহ বা সিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ২৫ শতাংশ। আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।
×