ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রূপগঞ্জের গ্রামে শওকত বাহিনীর তা-ব, দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

রূপগঞ্জের গ্রামে শওকত বাহিনীর তা-ব, দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৬ জানুয়ারি ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শওকত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও বাড়িঘরে ভাংচুর চালিয়েছে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পাবই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেনÑ ওই এলাকার তোফায়েল আহাম্মেদের ছেলে সালাম মিয়া (৪৭) ও মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিন্নত আলী (৪০)। তাদের মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে জিন্নত আলীর বুকে ও মাথায় গুলি লাগায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে পাবই এলাকার মিলন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর এলাকার শওকত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। পরে থানা পুলিশের চাপের মুখে তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শওকত বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ আলীসহ এ বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাবই এলাকায় মহড়া দেয়। এতে মিলন মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজন আর্তচিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী লাঠিসোঠা নিয়ে শওকত বাহিনীকে ধাওয়া করে। পরে শওকত বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গ্রামবাসীর ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়ে গ্রামবাসীর বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে গ্রামবাসীও পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা চালায়। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় শওকত বাহিনীর অব্যাহত গুলিবর্ষণের ফলে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। এ বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকা-সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
×