ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২০২৫ সালে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রফতানিতে ২০ বিলিয়ন ডলার আয়

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

২০২৫ সালে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ রফতানিতে ২০ বিলিয়ন ডলার আয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকিজিং খাত থেকে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। গত অর্থবছরে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। এ খাতে আমাদের যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানাও গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মত দেন এর সঙ্গে জড়িতরা। বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং মেশিনারিজ প্রদর্শনী-২০১৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি রাফেজ আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। অতিথির মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এস. কে. সুর চৌধুরী ও বিজিএমইএর সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজিম, প্রদর্শনীর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল করিম তমিজ ও ভারতের এএসকে ট্রেড এ্যান্ড এক্সিবিশন (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক নন্দগোপাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু বলেন, দেশে ইতোমধ্যে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং খাতে রফতানিমুখী ১৩শ’ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব তৈরি শিল্প-কারখানায় উৎপাদিত ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের পণ্য পোশাক শিল্পে সরাসরি ব্যবহৃত হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ শিল্প খাত থেকে প্রায় ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য রফতানি হয়েছে। তিনি বলেন, আশির দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের যাত্রা শুরু আর নব্বইর দশকে এ খাতের যাত্রা শুরু হয়। গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এ্যান্ড প্যাকেজিং শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাত। এটি আমদানি বিকল্প এবং রফতানিমুখী শিল্প। তৈরি পোশাকশিল্পের ব্যাক ওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। এ শিল্প প্রায় দুই লাখ শ্রমিক কর্মরত আছেন। এতে মূল্য সংযোজন হার শতকরা ৪০ ভাগের বেশি। প্রতিবছর শতকরা ১৩ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে এ শিল্পের। শিল্পমন্ত্রী বলেন, শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে রফতানিমুখী অন্যান্য শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে আসছি। জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ রিসাইক্লিং, ওষুধ, চামড়া, সিরামিক, প্লাস্টিক, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্পসহ দেশীয় কাঁচামাল নির্ভর শিল্প গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মোঃ এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেন, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতকে আরও এগিয়ে নিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে যে সব সুযোগ-সুবিধা দরকার তা সহজ শর্তে ও সহজ উপায়ে দেয়া হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা চাই শান্ত, ভদ্র ও সুষ্ঠু পরিবেশ। যেখানে মানুষ কাজ করে খেতে পারবে। এজন্য সরকারকে সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংকের সুদের হার হ্রাস করণ ও ইউটিলাইজেশন পারমিশন (ইউপি) ইস্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ ও এনবিআরে সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতের রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা দেয়ার বিষয়েও আলোচনার আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, ৬শ’ শ্রমিক আর ১২ হাজার ডলার রফতানি নিয়ে আমাদের পোশাক খাতে যাত্রা শুরু হয়। এখন ৪৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে। ৫০ বিলিয়ন রফতানি করতে পারলে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ এবং প্যাকেজিং খাতের অবদানও থাকবে ৮-১২ বিলিয়ন ডলার।
×