ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝিনাইদহে শীতের তীব্রতা, বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া

প্রকাশিত: ০৩:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

ঝিনাইদহে শীতের তীব্রতা, বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৪ জানুয়ারি ॥ শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন শত শত শিশু নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আসছে হাসপাতালে। আউটডোরেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে দেড় শ’ থেতে থেকে দু’শ’ শিশুকে। রোগীর বাড়তি চাপ থাকায় চিকিৎসা দিচ্ছে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শয্যার তুলনায় বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় তাদের থাকতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। জেলার ৬টি উপজেলার চিত্রও একই। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. মোঃ আব্দুস সালাম জানান, প্রচ- ঠা-ার কারণে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে হঠাৎ করেই বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। গত ডিসেম্বর মাসে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় ৫ হাজার ৫৮৩ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় ৩ হাজার ৫শ’ ৫৭ জন এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় ২ হাজার ২৬ জন। চলতি মাসেও শিশুদের নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। হাসপাতালের নির্ধারিত বেড ছাড়াও অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেককে মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রচ- শীতের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ রয়েছে। তাদের উপযুক্ত চিৎিসা দেয়া হচ্ছে। প্রচ- এই শীতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা একটু ঝুঁকির মধ্যেই থাকে। কেশবপুরে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ ॥ মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ১৪ জানুয়ারি ॥ কেশবপুরের পাচপোতা গ্রামে এক বাকপ্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার বয়স ২৬ বছর। ভিক্ষা করতে গেলে দুই নরপুশু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানির পর ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে কেশবপুর থানায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ধর্ষক আল আমিন ও মিঠুকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। থানা ও এলাকাবাসী জানায়, কেশবপুরের পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার এই বাকপ্রতিবন্ধী সোমবার বিকেলে ভিক্ষা করতে যায় কেশবপুরের পাচপোতা গ্রামে। ভিক্ষা দেয়ার কথা বলে ওই গ্রামের কছিম উদ্দিন মোল্যার পুত্র আল আমিন (২৮) ও শহিদুল ইসলামের পুত্র মিঠু ওরফে লিটন (৩২) মেয়েটিকে লিটনদের রান্নাঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আল আমিন ও মিঠু জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে ধর্ষকদের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা (নং-৮,১৩-০১-১৫) নেয়া হয়েছে।
×