ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হকারের পরিবারকে অবরুদ্ধ করতে পুকুর খনন

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

হকারের পরিবারকে অবরুদ্ধ করতে পুকুর খনন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১২ জানুয়ারি ॥ পত্রিকা হকার সংখ্যালঘু মাখন লাল বৈরাগীর বাড়ির মুখে চলাচলের সরকারী রাস্তা কেটে পুকুর করা হচ্ছে। পড়শী রওশন আরা ও শাহআলম দম্পতি এসব করছে। কয়েক দিন আগে মাখনের বন্দোবস্ত পাওয়া কৃষিজমির একাংশসহ রেকর্ডীয় জমি দখল করে জলিল গাজী গং একটি স্থাপনা তুলেছে। পুলিশের হস্তক্ষেপে ছাউনির কাজ বন্ধ রয়েছে। এসব ঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়। সোমবার সকালে পুলিশ অফিসার সাখাওয়াৎ হোসেন গিয়ে বাধা-নিষেধ করলে তাও মানা হয়নি। উল্টো পুলিশ ফিরে আসার পরে রওশন আরা তার স্বামী শাহআলম ও ছেলে সজল মারধরের জন্য মাখন লালের বাড়িতে চড়াও হয়। কার্যত অবরুদ্ধ থাকতে হচ্ছে এ মানুষটিকে। বন্দোবস্ত পাওয়া জমি দখল করে নেয়ার ঘটনায় শত বার ভূমি প্রশাসন থানা পুলিশে দৌড়ঝাঁপ করেও কোন সুরাহা হয়নি। বর্তমানে থ্রোটক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষটি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। টাকার অভাবে তৃতীয় দফার থেরাপি দিতে পারেননি। তার ওপরে বাড়িঘরের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করা হচ্ছে। কলাপাড়া উপজেলার পাখিমারা গ্রামের জলিল গাজী ও রওশন আরা গং এভাবে বছরের পর বছর ধরে এ পরিবারটির ওপর শারীরিক মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বহুবার মাখন লালকে পাখিমারা বাজারে মারধর লাঞ্ছিত করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে মাখন লালের জমির চৌহদ্দি করে দিয়েছে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক খান। কিন্তু রওশন আরা গং ওই চৌহদ্দির পিলার উপড়ে ফেলে জমি দখল করে নেয়। জমির দখল বুঝে নেয়ার জন্য স্থানীয় ভূমি অফিসে বহুবার দৌড়ঝাঁপের পরে নামকাওয়াস্তে মাপজোখ করে দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে পুলিশের কাছে। অসহায় এ মানুষটি স্বপক্ষের মোটা ভলিয়মের কাগজপত্র নিয়ে অসহায়ের মতো তার জমি দখলের বর্ণনা করেন। জানালেন, বাড়িঘর, পুকুরপাড় দিয়ে স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছেন না। হুমকি-ধমকি এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আর বিশ্রী ভাষায় গালাগাল করছে অহরহ।
×