ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রূপগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি, উদ্ধার অভিযান নেই

প্রকাশিত: ০৬:২৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

রূপগঞ্জে অস্ত্রের ঝনঝনানি, উদ্ধার অভিযান নেই

মীর আব্দুল আলীম, রূপগঞ্জ ॥ রূপগঞ্জের সর্বত্রই অস্ত্রের ঝনঝনানি। এসব অস্ত্র আর অস্ত্রবাজদের দাপটে দিন দিন অশান্ত হয়ে পড়ছে রূপগঞ্জ। সম্প্রতি রূপসী, তারাবো, কাঞ্চন. গোলাকান্দাইলে প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি মুড়াপাড়ায় সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী সভায় গোলাগুলি হয়েছে। আহতও হয়েছে অনেকে। সম্প্রতি এক চালানেই অর্ধশতাধিক অস্ত্র রূপগঞ্জে এসেছে এ খবর সবাই জানে। পুলিশও জানে এ কথা। তবুও তারা চুপ থাকে, তাদের মুখে কুলুপ আঁটা। অজ্ঞাত কারণে নির্বিকার পুলিশ। জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে অস্ত্রবাজ এসব সন্ত্রাসীরা ব্যাপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরা নিরীহদের জমি, মিল-কলকারখানা দখল, ডাকাতি ছিনতাই থেকে শুরু করে হেন কাজ নেই যা তারা করছে না। রূপগঞ্জে যেভাবে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন হচ্ছে; যেভাবে ঠাস্-ঠুস্, ফট্-ফট্ অস্ত্রের শব্দ হচ্ছে তাতে রূপগঞ্জবাসী শঙ্কিত, আতঙ্কিত না হয়ে পারে না। এটা দৃশ্যমান যে, রূপগঞ্জের সর্বত্রই এখন অস্ত্রের ঝনঝনানি। সরকারদলীয় গ্রুপ, মেয়র গ্রুপ, চেয়ারম্যান গ্রুপ, মেম্বার গ্রুপ, ওমক গ্রুপ, তোমক গ্রুপ এমন নানা নামে নানা পরিচয়ে ২ ডর্জন গ্রুপের অর্ধসহস্রাধিক সন্ত্রাসী ব্যবহার করছে আগ্নেয়াস্ত্র। শত শত ‘বৈধ অস্ত্রের’ ছড়াছড়ির মধ্যে ‘অবৈধ অস্ত্রের’ খোঁজ নেই পুলিশের। রূপগঞ্জের রাজনৈতিক সংঘাতেও হরহামেশাই অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার দেখতে পান বাসিন্দারা। আবার মিল-কারখানায় চাঁদাবাজি করতে যাওয়া, বাড়ি দখল, ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকেও গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া যায় প্রায়ই। পান থেকে চুন খসলেই কোমর থেকে অস্ত্র বেরিয়ে আসে। উপজেলাজুড়ে প্রশাসনের অস্ত্র উদ্ধার অভিযান কখনই সফলতা পায় না। এমনকি কখনও কখনও বৈধ অস্ত্রেরও অজাচিত ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সরকারী আদেশ অমান্য করার জন্য কোন বৈধ অস্ত্রধারীর লাইসেন্স বাতিল হওয়ারও নজির নেই। রায়পুরে মিল্কভিটার দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র বন্ধ ॥ বিপাকে খামারীরা সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, ১২ জানুয়ারি ॥ বিএনপির ডাকা অবরোধ ও বিভিন্ন জেলায় হরতালের কারণে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মিল্কভিটার শীতলীকরণ কেন্দ্রে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়ায় দুধ উৎপাদনকারী শতাধিক খামারি দুধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ধারণক্ষমতা না থাকায় ৬ জানুয়ারি থেকে সমবায়ী খামারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ কারণে মিল্কভিটারা শীতলীকরণ ক্রয় কেন্দ্র থেকে সকালের দুধ খামারিদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে না। ফলে খামারিরা ৪৫ টাকা দরের ১ লিটার দুধ স্থানীয় বাজারগুলোতে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। জানা যায় যায়, সমবায়ী কৃষকদের কাছ থেকে দুধ কিনে তা মিতালী বাজারের শীতলীকরণ কেন্দ্রে নিয়ে সেখানে সংরক্ষণ ও পরে দুধ মিল্কভিটার ঢাকার মিরপুরের প্রধান কারখানায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন এখানে শতাধিক খামারি ৫০০ থেকে ৫৫০ লিটার দুধ দেন। এই কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার লিটার দুধ ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে।
×