ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু টাইগারদের

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু টাইগারদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শুরু হয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি। সোমবার সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন দলের ক্রিকেটাররা। অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ টি২০ ক্রিকেট লীগে খেলায় সাকিব আল হাসান ও ইনজুরিমুক্ত হতে অস্ট্রেলিয়ায় থাকায় তামিম ইকবাল অনুশীলনে যোগ দেননি। চূড়ান্ত দলে থাকা বাকি সবাই প্রথমদিনের অনুশীলনে উপস্থিত হন। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান রুম্মন, তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন, আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলাম অনুশীলনে ছিলেন। শুধু কী চূড়ান্ত দলের ক্রিকেটাররাই, পেসার শফিউল ইসলাম, স্পিনার জুবায়ের হোসেন, ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসও অনুশীলনে থাকেন। এ তিনজন স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে থাকবেন। ব্রিসবেনে যে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ক্যাম্প হবে, সেই ক্যাম্পে এই তিনজন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকবেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় অনুশীলন। শুরুতেই সবার সঙ্গে কোচ চন্দ্রিকা হাতুরাসিংহে মিটিং করেন। এর পরই অনুশীলন শুরু হয়ে যায়। প্রথম দিনে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য কন্ডিশনিং ও স্ট্র্যান্থ ট্রেইনিং হয়। আজ থেকে শুরু হয়ে যাবে স্কিল ট্রেইনিং। টানা তিন দিন চলবে স্কিল ট্রেইনিং। এরপর ১৬ জানুয়ারি আবারও কন্ডিশনিং ও স্ট্যান্থ ট্রেইনিং হবে। ১৭ জানুয়ারি একদিন বিরতি দিয়ে আবার টানা চারদিন ব্যাট-বলের অনুশীলন হবে। সেই সঙ্গে দেশের মাটিতে প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষও হয়ে যাবে। ২৪ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করবে দল। সোমবার কন্ডিশনিং ও স্ট্র্যান্থ ট্রেইনিং থাকলেও দুপুর ১২টার পর দেখা গেল সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়কে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের দিকে এগিয়ে যেতে। সেখানে গিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেন এই দু’জন। সৌম্য সরকার আবার বোলিং অনুশীলনটাও সেরে নেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মূল মিশন শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ থাকবে আফগানিস্তান। এরপর এক এক করে ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা, ৫ মার্চ স্কটল্যান্ড, ৯ মার্চ ইংল্যান্ড ও ১৩ মার্চ বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে যে অনুশীলন হবে, সেই অনুশীলন পর্বে বিশ্বকাপের ছয় প্রতিপক্ষ নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিবিড় আলোচনাও চালিয়ে যাবেন কোচ। চার বছর অস্ট্রেলিয়ায় থাকা এ কোচ উইকেট সম্পর্কেও ক্রিকেটারদের ধারণা দেবেন। সেই ধারণা নিয়েই দল অস্ট্রেলিয়ায় যাবে। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। ব্রিসবেনে প্রস্তুতি ক্যাম্প শেষে দল চলে যাবে সিডনিতে। সেখানে গিয়ে বিশ্বকাপের আসল মেজাজ পাবে মাশরাফি বাহিনী। এর মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। সিডনিতেই বাংলাদেশ দলকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে ও ১২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ দুই প্রস্তুতি ম্যাচ শেষেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে নামতে হবে বাংলাদেশকে। এ মুহূর্তে সব কিছু বাদ দিয়ে প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বিশ্বকাপের দিকে ক্রিকেটারদের ফোকাস দেয়াকেই জোর দিচ্ছেন। বলেছেন, ‘আমরা একটা স্কোয়াড ঘোষণা করেছি। প্রত্যেকটা বোলার কিংবা ব্যাটসম্যানের আলাদা আলাদা রোল থাকে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে যার যার রোল বিবেচনা করেই দলে নিয়েছি। যে ক্যাম্পটা শুরু হয়েছে, আমাদের দেশের যে ফাস্ট বোলাররা আছে, যারা জাতীয় দলের বাইরে রয়েছে তাদের মধ্য থেকে অনেককে ডাকা হয়েছে। দলকে সহযোগিতা করার জন্যই মূলত তাদের ডাকা। কোচের যে ক’জনকে প্রয়োজন ছিল তা বিবেচনা করে কিছু নেট বোলার চেয়েছি আমরা। এখন থেকে আমাদের পুরো ফোকাসটা বিশ্বকাপকে ঘিরেই থাকা উচিত।’
×