ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও, বিএনপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

অবরোধের নামে জ্বালাও পোড়াও, বিএনপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে

মোয়াজ্জেমুল হক ॥ ২০ দলীয় জোটের ডাকে গত ৬ জানুয়ারি থেকে টানা অবরোধের কবলে দেশ এই অবরোধের ব্যানারে সংঘাত-সহিংসতায় জড়িয়ে গেছে। অবরোধকারীদের মাঠে তেমন দেখা না গেলেও সুযোগ সন্ধানীরা ঝটিকা হামলায় যানবাহন জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা, রেললাইন উপড়ে ফেলাসহ মানুষের সহায়-সম্পদ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতি করে চলেছে। রাজনীতিতে অনাকাক্সিক্ষত এসব ঘটনায় ফুঁসছে পুরো দেশ। অবরোধের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক মহল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আপোসহীন মনোভাবেই কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্নভাবে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, প্রয়োজনে অবরোধ থেকে অসহযোগে যাবে বিএনপি। যদিও বেগম জিয়া মুখে বলে চলেছেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা। সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না গিয়ে ২০ দল নিজেদের ক্ষতি নিজেরা ডেকে এনেছে। কিন্তু তার খেসারত দিতে জনগণকে কেন বেছে নেয়া হলো সে জিজ্ঞাসা বার বার জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিকে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এ আন্দোলন রাজনীতির ব্যানারে ডাকা হলেও পরোক্ষভাবে জঙ্গীপনাকে উস্কে দিচ্ছে। দেশে যখন জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা মাজা ভাঙ্গা অবস্থায় সেই মুহূর্তে বিএনপি নেত্রীর এ ধরনের আন্দোলন কর্মসূচী তাদের উগ্র মনোভাবে মাঠে নামার সুযোগ করে নিচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে বেগম জিয়া এখনও তার গুলশান কার্যালয়ে রয়েছেন। মনিটরিং করে যাচ্ছেন আন্দোলনের গতিবিধি। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ‘বিশ্ব এজতেমা’কেও ছাড় দেয়া হলো না। মুসল্লিরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কিন্তু তাতে কিছু আসে যায়নি। দাবি আদায় ছাড়া যেন কারও সঙ্গে কোন আপোস নেই তাঁর। এদিকে, অবরোধে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্বাভাবিক অবস্থা মারাত্মক ক্ষতির পর্যায়ে চলে গেছে। কিন্তু এ অবরোধ থেকে পরিত্রাণের কোন লক্ষণ নেই। শিল্প খাত বিপর্যস্ত, পরিবহন খাত, পর্যটনসহ সর্বত্র বড় ধরনের আঘাত লেগেছে অবরোধ কর্মসূচীতে।
×