ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সন্ত্রাস রুখে দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৩ জানুয়ারি ২০১৫

সন্ত্রাস রুখে দিন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সহ্যেরও একটা সীমা আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে অবরোধের নামে জামায়াতের হাত ধরে মানুষ খুন করবেন আর আমরা বসে বসে সহ্য করব-এটা হবে না। দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা এবং তাদের নিরাপত্তায় যা যা করা সরকার তাই করবে। দেশের মানুষের ওপর জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন আর বরদাস্ত করা হবে না। তাই খালেদা জিয়াকে বলব-এখনও সময় আছে মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করুন। নইলে জনগণ ক্ষেপে গেলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়। যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরের ঘাতক, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে মানুষের ভাগ্য ও জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় কারা বোমা মারছে, বোমা বানায় এবং সন্ত্রাস করছে তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিন। যারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে, মানুষ হত্যা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষে যা যা করার তা সবই করা হবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদের নেত্রী’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসী, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতিবাজদের আন্দোলনের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেবে না। খালেদা জিয়া এখন আর রাজনৈতিক দলের নেত্রী নন, সন্ত্রাসী-জঙ্গীদের নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। আমরা আর তাঁকে জনগণের শান্তি বিনষ্ট করতে দেব না। নির্বাচনে না আসার রাজনৈতিক ভুলের খেসারত তাঁকেই (খালেদা জিয়া) দিতে হবে, জনগণকে নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। আন্দোলনের নামে মানুষকে পুড়িয়ে মেরে, জঙ্গীবাদী তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে কেউ-ই ব্যহত করতে পারবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধ উপেক্ষা করে লাখো মানুষের ঢল নামিয়ে জনসভাকে রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত করে বর্তমান সরকারের প্রথমবর্ষ পূর্তির দিন রাজধানীতে বড় ধরনের শো-ডাউন করল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর সমাবেশে আসা লাখো মানুষের মনে ছিল না সামান্য আতঙ্ক, বরং বিজয়ের আনন্দে, বাদ্য-বাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে, সেøাগানে সেøাগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করেই জনসভায় যোগ দিতে দেখা যায়। আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সভাপতিম-লীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুব-উল আলম হানিফ, এম এ আজিজ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগের আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুবলীগের হারুনুর রশিদ, কৃষক লীগের মোতাহার হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মোল্লা মোঃ আবু কাউছার, যুব মহিলা লীগের নাজমা আখতার এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিলের পরিচালনায় জনসভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। দুপুর ২টায় জনসভার সময় নির্ধারিত থাকলেও অবরোধ-হরতাল উপেক্ষা করে বেলা ১২টা থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে মিছিলের স্রোত নামে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে। দুপুর একটার পর থেকেই পুরো ঢাকা মহানগরীই যেন মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। রঙবেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে, বাদ্য-বাজনার তালে তালে এবং বিএনপি-জামায়াতবিরোধী নানা উত্তপ্ত সেøাগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে জনসভায় আসতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, সমর্থক ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। দুপুরে সাড়ে তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাপিয়ে জনসভার পরিধি হাইকোর্ট, দোয়েল চত্ব¡র, টিএসসি হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত লোকে-লোকারণ্য হয়ে পড়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে জনসভাস্থলের কিছু দূরে হরতাল আহ্বানকারীরা বাংলা একাডেমির সামনে পর পর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সন্ত্রাসীদের ধরতে পারেনি। সবমিলিয়ে সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন সোমবার রাজধানীতে ব্যাপক শো-ডাউনের মাধ্যমে বড় ধরনের সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেখায় আওয়ামী লীগ। জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়ে বলেন, তাঁকে কেউ অবরোধ করে রাখেনি। উনি ঘর ছেড়ে অফিসে কেন? নিজে নিজের অফিসে স্বেচ্ছায় অবরুদ্ধ থেকে দেশের মানুষকে অবরুদ্ধ রাখতে চান কেন? উনি বাড়িতে চলে যাক, কেউ বাধা দেবে না। নতুন খাট ও গদি বানিয়ে অফিসে থেকে আপনি (খালেদা জিয়া) কি স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন? অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের লাশ ফেলে আপনি কি ঘটাতে চান? তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। এখন আবার উনার ঘাড়ে কী ভূত চাপল যে, একবছর পর আবার ৫ জানুয়ারি উনি অবরোধ ডাকলেন। কিন্তু উনার আহ্বান কে মানছে? দেশের জনগণ কেন, উনার ডাকে নিজের দলের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেননি। সন্ত্রাস ও জঙ্গীদের নেত্রী হয়ে উনি এখন জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, কী দোষ করেছে দেশের জনগণ? জনগণের চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন কেন? আপনি নির্বাচনে আসেননি, এটা আপনার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কেউ রাজনৈতিক ভুল করলে তার খেসারত ওই দল এবং দলের নেত্রীকে দিতে হয়। তবে আপনার রাজনৈতিক ভুলের খেসারত কেন জনগণকে দিতে হবে? এখনও সময় আছে এসব বন্ধ করুন। দেশের মানুষের ওপর আর জুলুম-নির্যাতন চালাবেন না, তা আর বরদাস্ত করা হবে না। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা করার তাই করা হবে। প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের কারণে খালেদা জিয়ার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আন্দোলনের নামে যারাই সন্ত্রাস বা সহিংসতা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপি নেত্রী যতই চেষ্টা করুক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। পরাজিত শক্তির দোসররা আর মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। জামায়াতের কারণেই বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে আসেননি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী কেন নির্বাচনে আসেননি তা সবাই জানেন। যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতে ইসলামী শর্ত পূরণ করতে না পারায় নির্বাচন কমিশন তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে। কিন্তু বিএনপি নেত্রী জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচনে আসবেন না। আর খালেদা জিয়া জানতেন নির্বাচনে গেলে তাঁর ভরাডুবি ঘটবে, এ কারণেই উনি নির্বাচনে না গিয়ে নির্বাচন বানচালের নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, মসজিদে আগুন দিয়েছেন, পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়িয়েছেন, অবলা গরুও তাঁর নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পাননি। দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জনগণ ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন। আমরা এক বছর সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করেছি, দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব এজতেমার মধ্যেও অবরোধ প্রত্যাহার না করায় খালেদা জিয়ার কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব এজতেমা হয়ে গেল, হাজার হাজার মুসল্লি এতে অংশ নেয়। বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় জমায়েত এটা। জামায়াত ধর্মের নামে রাজনীতি করে আর উনি (খালেদা জিয়া) ইসলামের ধ্বজা ধরে থাকেন। তাহলে এজতেমার সময় অবরোধ করেন কেন? সহ্যেরও একটা সীমা থাকে। আপনি অনেক চেষ্টা করেছেন, মুসল্লিদের ঠেকাতে পারেননি। আওয়ামী লীগসহ দেশের জনগণ পাহারা দিয়েছে, যাতে মুসল্লিদের আসা-যাওয়াতে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। ইসলামের প্রতি সামান্য দরদ থাকলে খালেদা জিয়া অবরোধ বহাল রাখতে পারতেন না। খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি অফিসে কী করেন? উনাকে তো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। বাড়িতে চলে যাক। উনি নাকি সরকার উৎখাত না করে ঘরে ফিরবেন না! সন্ত্রাস ও জঙ্গী রানীর কথায় জনগণ আসবে না। শেখ হাসিনা খালেদাকে কটাক্ষ করে বলেন, ঘর থুইয়া অফিসে কেন? পুরনো অভ্যাস। ঘর ছেড়ে পালানো উনার পুরনো অভ্যাস। এ সময় খালেদা জিয়ার ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন উদাহরণ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, স্কুলে পড়াবস্থায় উনি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য বাড়ি ছাড়া হয়েছিলেন, কিন্তু ভারতের বিহারের কাতিহারা স্টেশন থেকে জনগণ তাঁকে উদ্ধার করে মা-বাবার কাছে ফেরত দেন। এরপর জিয়ার সঙ্গে দিনাজপুর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়ার পরিবারসহ সকল অফিসারের পরিবারকে ফিরিয়ে নিতে মুক্তিযুদ্ধের গেরিলারা ঢাকায় এসেছিলেন। খালেদা জিয়াকে আনতে গেলে উনি জানান, পরদিন যাবেন। কিন্তু পরদিনই উনি পালিয়ে গেলেন, পাকিস্তানী আর্মি অফিসার আসলাম বেগের আতিথেয়তা নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় জিয়াকে মেসেজ দিয়ে যান, যুদ্ধ করে কিছু হবে না তুমি পাকিস্তানে চলে যাও আমিও যাব। এখানেই শেষ নয়। দেশে কিছু অঘটন ঘটার আগেই উনি পালিয়ে যান, আত্মগোপনে থাকেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ও হঠাৎ করেই উনি তিন দিন লাপাত্তা হয়ে গেলেন। পরে এরশাদ সাহেব পূর্বাণী হোটেলের দরজা ভেঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করলেন। ‘৮৬ সালেও সিপাহী-জনতার বিপ্লবের কথা বলে তিন দিন আত্মগোপনে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বিডিআর বিদ্রোহের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের দুই ঘণ্টা আগে উনি (খালেদা জিয়া) ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেলে আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। বিদ্রোহ ঘটার দু’ঘণ্টা আগে উনি পালালেন কেন? আসলে উনি যখনই ষড়যন্ত্র করেন, তার আগে আত্মগোপনে চলে যান। এর ধারাবাহিকতায় এবার উনি খাট, সোফা, গদি নিয়ে উঠলেন গুলশান কার্যালয়ে। পত্রিকায় বেরিয়েছে কয়েকদফা উনি খাট পরিবর্তনও করেছেন। নিজে পালাবেন আর বলবেন অবরুদ্ধ! নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নকারীদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহের কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সর্বোচ্চ দুটি পদে আমাদের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যদি বৈধই না হতো তাহলে এতগুলো দেশের ভোট বাংলাদেশ পেত না। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব বুঝে না, বুঝে শুধু উনি (খালেদা জিয়া) আর উনার কুলাঙ্গার পুত্র (তারেক জিয়া) যে মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিল আর রাজনীতি করবে না বলে। ক্ষমতায় থাকতে হাওয়া ভবন খুলে মানুষ হত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার সবই করেছে। মানি লন্ডারিং মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি। যেমন মা তেমনই তার পুত্র! দেশের মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার শুরু করেছে। লন্ডনে বসে দেশে মানুষ হত্যা করছে। শেখ হাসিনা তার সরকারের গত এক বছরের নানা অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, এক বছর সফলতার সঙ্গে পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে এজন্য কৃতজ্ঞ। এ সময়ে সমুদ্রসীমার রায়ে বাংলাদেশ বিজয়ী হয়েছে। মন্দা মোকাবেলা করে অর্থনৈতিক গতি ঠিক রাখতে পেরেছে বিশ্বের এমন ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ২। মুদ্রাস্ফীতি ১২-১৩ থেকে নামিয়ে ৬ দশমিক ১ নামিয়ে এনেছি। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পেরেছি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্বাচন কাজ শুরু করেছি। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষ শান্তি ও স্বস্তিতে রয়েছে ঠিক তখন অশান্তি বেগম তার অশান্তির আগুনে বাংলাকে ধ্বংস করে দিতে চাইছে। কিন্তু আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না।
×