ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন

স্টাফ রিপোর্র্টার ॥ অবশেষে আজ খুলে দেয়া হচ্ছে বহুল আলোচিত নন্দন মঞ্চ। এর আগে একাধিকবার মঞ্চটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়। অবশেষে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত এই মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাজধানীতে নতুন আরও একটি মঞ্চ পেতে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নির্মিত হয়েছে ‘নন্দন মঞ্চ’। শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে নন্দন মঞ্চের উদ্বোধন উপলক্ষে আজ ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি তিনদিব্যাপী বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে একক সঙ্গীত, সমবেত সঙ্গীত, সমবেত নৃত্য, নৃত্যালেক্ষ্য, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নৃত্য পরিবেশনা, সংযাত্রা, কাওয়ালী, ফিউশন যন্ত্র সঙ্গীত ও তালবাদ্য সমবেত পরিবেশনা প্রভৃতি। তিনদিনব্যাপী এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা পাফর্ম করবেন। আজ ১২ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে নন্দন মঞ্চের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস এনডিসি। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক সোহরাব উদ্দিন। প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জাতীয় নাট্যোৎসব’ উদ্বোধন করতে এসে একাডেমি মাঠের দক্ষিণ পাশে পরিত্যক্ত পুকুর দেখেন। পুকুরটি দেখে সে সময় তিনি মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে নান্দনিক কিছু একটা করার প্রস্তাব দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত মার্চ মাস থেকে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এ নন্দন মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঢাকার বুকে এই প্রথম কোন নন্দন মঞ্চ নির্মিত হয়েছে। এই নন্দন মঞ্চের নির্মিত ব্যয় ১ কোটি ৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা। মঞ্চের দু’পাশে গ্রীনরুম, লাইট স্ট্যান্ড রয়েছে। এই মঞ্চে বিশেষ বিশেষ দিনে বড় ধরনের যেকোন আয়োজন করা যেতে পারে। মঞ্চটির চারপাশে থাকবে নান্দনিক ঝর্ণা, পানির নীচে রং বেরঙের আধুনিক লাইট। মঞ্চ ও জলাধারকে ঘিরে এক থেকে দেড় হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। একাডেমিতে বিশাল আকৃতির ভবনসমূহ নির্মাণ হলেও এখানে বৃহৎ আকারের কোন জলাধা নেই। দুর্ঘটনাবশত কোন অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে তা নির্বাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পানির সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। এ নন্দন মঞ্চটি নির্মাণের একটি সুবিধা হচ্ছে এর ফলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য বর্ধন হবে, অন্যদিকে অগ্নি প্রতিরোধেরও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সংস্কারকৃত পুকুরটিতে নন্দন মঞ্চের নীচে মোট ১৫টি ওয়াটার ফাউন্টেন রয়েছে বলে শিল্পকলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে।
×