ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দ্বিতীয় দিনেও বিক্রেতাশূন্য ঢাকা ডায়িং

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

দ্বিতীয় দিনেও বিক্রেতাশূন্য  ঢাকা ডায়িং

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ঢাকা ডায়িং দ্বিতীয় দিনের মত বিক্রেতাশূন্য ছিল। আগের দিনের চেয়ে কোম্পানিটির মোট ৯.৮১ শতাংশ দর বাড়ার পর বিক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। সার্বিকভাবে কোম্পানিটি দরবৃদ্ধির তৃতীয় স্থানে চলে আসে। রবিবারে সারাদিনে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৪৯ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া মোট শেয়ার সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৮২০টি। কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের প্রারম্ভিক মূল্য ছিল ১৬ দশমিক ৬০ টাকা। সবশের্ষ ও সমন্বয় শেষে প্রতিটি শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১৭ দশমিক ৯০ টাকা। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তিন কার্যদিবস ধরে বাড়ছে শেয়ারটির দর। এক মাসে সর্বনিম্ন দর ছিল ১৪ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ১৭ টাকা ৯০ পয়সা। ছয় মাসে এর সর্বনিম্ন দর ১৪ টাকা ২০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২১ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রির মুনাফার পরিমাণ ২০ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ সময় নেট মুনাফা হয় ২ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ইপিএস ২৯ পয়সা। প্রসঙ্গত, শ্রম আইন অনুসারে কোম্পানির হিসাব বছর শেষে পরবর্তী নয় মাসের মধ্যে কর্মীদের মুনাফার অংশ বণ্টন করে না ঢাকা ডায়িং। এ নিয়ে কোম্পানির ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে আপত্তি তুলে ধরে মন্তব্য করেছেন কোম্পানিটির বহিরাগত নিরীক্ষক। এছাড়া কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোম্পানির মুনাফা ও শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হিসাব করতে বাংলাদেশ এ্যাকাউন্টিং স্টান্ডার্ড অনুসরণ করেনি। ডিএসইতে প্রকাশিত সংবাদে নিরীক্ষক তার মন্তব্যে উল্লেখ করেন, শ্রমিকদের মুনাফায় অংশগ্রহণ ও কল্যাণ তহবিলের পুঞ্জীভূত অর্থ শুরু থেকেই বণ্টন করা হয়নি। এ তহবিলে পুঞ্জীভূত অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। কোম্পানির কল্যাণ তহবিল গঠন এবং তা বণ্টনের বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন, ২০১৩-এর সংশ্লিষ্ট ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ করেনি। শ্রম আইনের ১৫ অধ্যায় অনুসারে, প্রতিষ্ঠানের মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিকের অংশ গ্রহণ তহবিল ও একটি শ্রমিক কল্যাণ তহবিল স্থাপন করতে হয়। আর প্রতিষ্ঠানের নেট মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ হিসাব বছর শেষ হওয়ার নয় মাসের মধ্যেই বিতরণ করতে হবে। এ মুনাফার ৮০ শতাংশ যাবে অংশগ্রহণ তহবিলে। অবশিষ্ট ২০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ কল্যাণ তহবিল যাবে এবং ১০ শতাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন, ২০০৬-এর ধারা ১৪ এর অনুসারে স্থাপিত শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করতে হয়।
×