ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা ॥ বেড়েছে রোগব্যাধি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা ॥ বেড়েছে রোগব্যাধি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও রংপুরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে শীতজনিত রোগ। দুইদিন সূর্যের দেখা মিলছে না। খবর স্টাফ রিপোর্টারদের। নীলফামারী ॥ জেঁকে বসেছে পৌষের শেষ পর্যায়ে এসে হাড় কাঁপানো শীত। বাতাসের ঝাপ্টা শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। হিমালয় পর্বত সংলগ্ন নীলফামারীসহ উত্তরের রংপুর বিভাগের আট জেলায় বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীতের তীব্রতা। শৈত্যপ্রবাহের সাথে কুয়াশায় ধোঁয়াশা পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণে শনিবার সূর্যের দেখা মিলেনি। ফলে সকাল-সন্ধ্যা বোঝাই ছিল ভার। রাতে বৃষ্টির ন্যায় কুয়াশা ঝরছে। কুড়িগ্রাম ॥ উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় কনকনে ঠা-া জেঁকে বসেছে। শনিবার সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ঠা-ার কারণে বিকেল থেকে শহরে মানুষের চলাচল কমে যায়। অনেকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যায়। ঠা-ার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষজন। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে আউটডোর ও ইনডোরে চিকিৎসা নিয়েছে ২শতাধিক রোগী। এদের মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদী বেষ্টিত এলাকার মানুষ এখন শীতে কাতর হয়ে পড়েছে । রংপুর ॥ সর্বোচ্চ এবং সবনি¤œ তাপমাত্রার কাছাকাছি অবস্থানে চলে আসায় রংপুরে গত দুদিন হয় হাঁড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বইছে হিমেল হাওয়া। গত দুদিনে সূর্যের দেখা নেই। ফলে শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। তীব্র শীতে ঘর ছেড়ে বের হওয়াই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে মানুষের। শীতে সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু-বয়োবৃদ্ধ, নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষ এবং খেটেখাওয়া শ্রমজীবীরা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শনিবার রংপুরে সর্বনি¤œ এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৩ এবং ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অস্ত্রসহ আটক তিন সন্ত্রাসীকে রূপগঞ্জ থানা থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ ১০ জানুয়ারি ॥ রূপগঞ্জ থানা পুলিশ দুই লাখ টাকার উৎকোচের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রসহ আটকৃত ৩ সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার মধ্য রাতে রূপগঞ্জ থানা থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। উৎকোচের বিনিময়ে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দেয়ার খবরে স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ছেড়ে দেয়া সন্ত্রাসীরা হলো, উপজেলার কালী এলাকার মোখলেছ মাতবরের ছেলে রুবেল মিয়া (২৪), কালাদি এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২৫) ও রাজধানীর মানিকনগর এলাকার দুলু মিয়ার ছেলে মুন্না মিয়া (২০)। জানা গেছে, ইউরো স্টার হাউজিং কোম্পানি নামে এক আবাসন প্রকল্পের অভিযান চালায় ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশ। এ সময় ওই আবাসন প্রকল্পের কার্যালয় থেকে ৬টি রামদা, ৫টি বল্লম ও ২টি ছুড়াসহ রুবেল বাহিনীর প্রধান রুবেলসহ ওই ৩ সন্ত্রাসীকে আটক করে। এদের মধ্যে রুবেলকে তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে শুক্রবার মধ্য রাতে দুই লাখ টাকার উৎকোচের বিনিময়ে অস্ত্রসহ আটক বাকি দুই সন্ত্রাসীকেও ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত স্থান থেকে উদ্ধার দেখিয়েছেন। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেহেদী হাসান জানান, উৎকোচের বিনিময়ে আটকদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তবে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আনা হয়েছিল।
×